২০২৩ শিক্ষাবর্ষে নতুন ক্যারিকুলাম এর আলোকে ষষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি সংকট হতে পারে এবং মোকাবেলায় করনীয় এবং সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা নিয়ে একটি নির্ধারিত কাজ ঠিক করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে কাজগুলো শেষ করতে হবে।
ষষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি চূড়ান্ত মূল্যায়নের দিন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি সংকট হতে পারে এবং মোকাবেলায় করনীয় এবং সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা কাজটি করে শিক্ষকের নিকট জমা দিবে। ১৯ নভেম্বর ২০২৩ বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সূচীপত্র
- 1 ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৩
- 2 ডিজিটাল প্রযুক্তি সেশন ভিত্তিক কাজ
- 3 ৬ষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
- 4 জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি সংকট হতে পারে
- 5 ভূমিকম্প সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট ও করণীয়
- 6 পাহাড় ধ্বসের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট ও করণীয়
- 7 জলোচ্ছ্বাসের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট ও করণীয়
- 8 ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট এবং করণীয়
- 9 অনাবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট এবং করণীয়
- 10 জলাবদ্ধতা সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট ও করণীয়
- 11 অগ্নিকান্ড সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট ও করণীয়
- 12 রিফ্লেকশান পেপার বা প্রতিফলনমূলক প্রতিবেদন লিখা
- 13 প্রতিফলন মূলক প্রতিবেদন
ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৩
এই বছর নতুনভাবে শুরু হয়েছে প্রয়োগিক শিক্ষা পদ্ধতি শিক্ষাক্রম। শিক্ষার্থীরা সারা বছর নিয়ম অনুসরণ করে পাঠ গ্রহণ করেছে যার আলোকে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ণের এর মধ্যমে কিছু পাঠ মূল্যায়ন করা হয়েছে। এবং এখন বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে।
ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৩ হিসেবে তিন দিবসের কর্মযজ্ঞ আছে। ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষকের সহায়তায় দুইটি প্রস্তুতিমূলক সেশন এবং একটি চূড়ান্ত সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
ক্রমিক | ধরণ | দূর্যোগের তালিকা |
---|---|---|
০১. | প্রাকৃতিক কারনে সৃষ্ট দূর্যোগ | বন্যা, ভূমিকম্প, পাহাড় ধ্বস, জলোচ্ছ্বাস, ঘুর্ণিঝড়, অনাবৃষ্টি ইত্যাদি |
০২. | মানব সৃষ্ট কারনে দূর্যোগ | জলাবদ্ধতা, অগ্নিকান্ড, সড়ক দূর্ঘটনা, রাসায়নিক বিষ্ফোরন ইত্যাদি |
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ ২০২৩ পালনের নির্দেশনা
ডিজিটাল প্রযুক্তি সেশন ভিত্তিক কাজ
প্রথম সেশন ০৯ নভেম্বর ২০২৩ তৃতীয় অংশে, দ্বিতীয় সেশন ১৪ নভেম্বর ২০২৩ এবং শেষ বা চূড়ান্ত সেশন ১৯ নভেম্বর ২০২৩ প্রথম অংশে। নিচের তোমাদের জন্য দিবস ভিত্তিক ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৩ দেওয়া হল।
সেশন | তারিখ | নির্ধারিত কাজ |
---|---|---|
১. | ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১. এলাকায় কি কি ধরনের জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয় তা চিহ্নিত করণ; ২. জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে জীবনযাত্রায় কি কি ধরণের সংকট তৈরি হয় বা কি কি ধরণের পরিবর্তন হয় তা দলে বসে চিহ্নিত করবে। ৩. জরুরি পরিস্থিতিতে পরিবর্তিত অবস্থায় স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে নিতে কি কি করনীয় হতে পারে তা পরিকল্পনা করবে। |
২. | ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১. কি কি সংকট তৈরি হতে পারে এবং ঐ সংকট মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে তালিকা তৈরি; ২. নির্ধারিত করণীয়গুলোকে ধাপ অনুযায়ী ফ্লোচার্ট আকারে তৈরি করবে; ৩. জরুরি পরিস্থিতিতে সংযুক্ত থাকার উপায় নির্ধারন; ৪. জরুরি পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কি কি সাইবার অপরাধ এবং তথ্য ঝুঁকি হতে পারে চিহ্নিত করন এবং করনীয় বর্ণনা করা; ৫. জরুরি অবস্থায় কোন কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন কোন নম্বরে যোগাযোগ করে কী সাহায্য চাওয়া যাবে তার পরিকল্পনা; ৬. জরুরি পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ থেকে আগত বার্তা বা তথ্য প্রেরণ ব্যবস্থা। |
৩. | ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১. জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি সংকট হতে পারে এবং ঐ সংকট মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে করণীয় এবং সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা; ২. রিফ্লেকশান পেপার বা প্রতিফলনমূলক প্রতিবেদন লেখা; |
এই পর্যায়ে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৩ এর সমাধান বা সম্ভব্য উত্তর কি কি হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করবো। মনে রাখবে এটি সম্ভব্য উত্তর। তোমরা এর থেকে তথ্য নিয়ে নিজেদের মত করে তৈরি করবে।
৬ষ্ঠ শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে নতুন ক্যারিকুলামে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন বা বার্ষিক পরীক্ষায় ডিজিটাল প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজগুলো দিবসভিত্তিক ক্রমান্বয়ে সম্ভব্য সমাধান করে দেওয়া হল।
এখানে প্রতিটি দিবসে কোন কোন কাজ আছে এবং কোনটি কিভাবে সম্পন্ন করতে হবে তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হবে। তোমরা ধাপ অনুযায়ী দিবস ভিত্তিক শিরোনাম ভিত্তিক সম্ভব্য উত্তর থাকবে।

সমাধান শুরু
জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি সংকট হতে পারে
চলো এবার জেনে নিই মানবসৃষ্ট কারনে এবং প্রাকৃতিক কারনে সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন দূর্যোগে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি কি সংকট তৈরি হতে পারে এবং সেগুলো কিভাবে উত্তরণ করা যাবে এবং সেই সময়গুলোতে জনগণের সাথে সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা।
প্রাকৃতিক কারনে সৃষ্ট দূর্যোগ

বন্যায় সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় যেসকল সংকট হতে পারে
বন্যার কারণে বিভিন্ন ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
১. জীবনহানি: বন্যার পানিতে ডুবে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, ভেসে যাওয়া যানবাহনের মধ্যে পড়ে, বাঁধ ভেঙে পড়ার ফলে, পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইত্যাদি কারণে বন্যায় প্রাণহানি ঘটতে পারে।
২. মালিকানার ক্ষতি: বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসল, পশুপাখিসহ বিভিন্ন ধরনের মালামালের ক্ষতি হতে পারে।
৩. পরিবহন ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা: বন্যার কারণে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, রেললাইন, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে পরিবহন ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।
৪. অন্ন ও পানির অভাব: বন্যার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে গেলে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এছাড়াও, পানি দূষিত হয়ে গেলে পানির অভাব দেখা দিতে পারে।
৫. স্বাস্থ্য সমস্যা: বন্যার কারণে পানিবাহিত রোগ, পোকামাকড়ের কামড়, আঘাত, ক্ষত ইত্যাদি স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুনঃ প্রাথমিক শিক্ষকদের সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩
বন্যার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয়
- পূর্বাভাস ও সতর্কতা অবলম্বন: বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এতে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমানো সম্ভব।
- নিরাপদ স্থানে অবস্থান: বন্যার সময় নিরাপদ স্থানে অবস্থান করা উচিত। এক্ষেত্রে সরকারি বা বেসরকারি উদ্ধারকর্মীদের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।
- প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ: বন্যার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে:
- জরুরি সরঞ্জাম ও খাদ্যদ্রব্য মজুদ করা।
- নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা।
- পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা করা।
সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা
বন্যার সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত থাকার জন্য নিম্নলিখিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে:
১. স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখা।
২. বেতার, টেলিভিশন, ইন্টারনেট ইত্যাদি মাধ্যমে সর্বশেষ তথ্য জানার চেষ্টা করা।
৩. প্রয়োজনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রাখা।
এছাড়াও, বন্যার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখা উচিত:
- প্রয়োজনে সরকারি বা বেসরকারি উদ্ধারকর্মীদের সহায়তা নেওয়া।
- অপ্রয়োজনীয় ভীতি বা আতঙ্কে না পড়া।
- শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
আরও পড়ুনঃ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা
বন্যার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কিছু নির্দিষ্ট টিপস
১. নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করুন।
২. প্রয়োজনীয় জরুরি সরঞ্জাম ও খাদ্যদ্রব্য মজুদ করুন।
৩. পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা করুন।
৪. স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলুন।
৫. প্রয়োজনে সরকারি বা বেসরকারি উদ্ধারকর্মীদের সহায়তা নিন।
বন্যার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সচেতনতা ও প্রস্তুতি থাকলে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

ভূমিকম্প সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট ও করণীয়
ভূমিকম্প হল একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা পৃথিবীর পৃষ্ঠের কম্পন বা কাঁপুনি দ্বারা চিহ্নিত। ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
মানুষের মৃত্যু ও আহত: ভূমিকম্পের ফলে ভবন, ব্রিজ, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এতে মানুষ আহত বা মারা যেতে পারে।
সম্পদের ক্ষতি: ভূমিকম্পের ফলে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসল, পশুপাখিসহ বিভিন্ন ধরনের সম্পদের ক্ষতি হতে পারে।
পরিবেশগত ক্ষতি: ভূমিকম্পের ফলে ভূমিধস, ভূমিক্ষয়, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে। এতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ EIIN বিহীন প্রতিষ্ঠানও ব্যানবেইজ জরিপ তথ্য জমা দিতে হবে
ভূমিকম্প সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিম্নলিখিত করণীয় রয়েছে:
পূর্বাভাস ও সতর্কতা অবলম্বন: ভূমিকম্পের পূর্বাভাস ও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এতে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমানো সম্ভব।
নিরাপদ স্থানে অবস্থান: ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ স্থানে অবস্থান করা উচিত। এক্ষেত্রে সরকারি বা বেসরকারি উদ্ধারকর্মীদের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ: ভূমিকম্পের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে:
- জরুরি সরঞ্জাম ও খাদ্যদ্রব্য মজুদ করা।
- নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা।
- পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা করা।
সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা
ভূমিকম্পের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত থাকার জন্য নিম্নলিখিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে:
পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। এই পরিকল্পনায় হ্যান্ডহেল্ড রেডিও, স্যাটেলাইট ফোন, ব্যাটারি-চালিত মোবাইল ফোন বা জরুরি যোগাযোগ অ্যাপের মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও উপকরণগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
আপনার এলাকায় ভূমিকম্প হলে যোগাযোগের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করুন। এই স্থানটি একটি উঁচু জায়গায় হওয়া উচিত যা ধ্বংসের আশঙ্কা কম।
আপনার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগের নিয়মিত সময়সূচী নির্ধারণ করুন। এই সময়সূচীটি ভূমিকম্পের সময় পরিবর্তিত হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ সঠিক সময়ে জরিপ সাবমিট না করা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ
বিদ্যুৎ না থাকলে বা ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে সংযুক্ত থাকার উপায়
বিদ্যুৎ না থাকলে বা ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে নিম্নলিখিত উপায়গুলি ব্যবহার করে সংযুক্ত থাকা যায়:
হ্যান্ডহেল্ড রেডিও: হ্যান্ডহেল্ড রেডিও হল একটি বেতার যোগাযোগ ডিভাইস যা একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত অন্যান্য হ্যান্ডহেল্ড রেডিওর সাথে যোগাযোগ করতে ব্যবহৃত হয়।
স্যাটেলাইট ফোন: স্যাটেলাইট ফোন হল একটি ফোন যা স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবহার করে। স্যাটেলাইট ফোন বিদ্যুৎ বা ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই বিশ্বের যেকোনো জায়গায় যোগাযোগ করতে পারে।
ব্যাটারি-চালিত মোবাইল ফোন: ব্যাটারি-চালিত মোবাইল ফোন হল একটি মোবাইল ফোন যা ব্যাটারি দ্বারা চালিত হয়। ব্যাটারি-চালিত মোবাইল ফোন বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই কিছু সময়ের জন্য ব্যবহার করা;
উপসংহার
ভূমিকম্প একটি ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ভূমিকম্পের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
বিদ্যুৎ না থাকলে বা ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে হ্যান্ডহেল্ড রেডিও, স্যাটেলাইট ফোন, ব্যাটারি-চালিত মোবাইল ফোন বা জরুরি যোগাযোগ অ্যাপের মতো উপায় ব্যবহার করে সংযুক্ত থাকা যায়।

পাহাড় ধ্বসের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট ও করণীয়
পাহাড় ধ্বস হল একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা পাহাড়ের ঢাল থেকে প্রচুর পরিমাণে মাটি, পাথর এবং অন্যান্য পদার্থের পতনের দ্বারা চিহ্নিত। পাহাড় ধ্বসের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
১. মানুষের মৃত্যু ও আহত: পাহাড় ধ্বসের ফলে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এতে মানুষ আহত বা মারা যেতে পারে।
২. সম্পদের ক্ষতি: পাহাড় ধ্বসের ফলে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসল, পশুপাখিসহ বিভিন্ন ধরনের সম্পদের ক্ষতি হতে পারে।
৩. পরিবেশগত ক্ষতি: পাহাড় ধ্বসের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন, ভূমিক্ষয়, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে। এতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সময়সূচি প্রকাশ
পাহাড় ধ্বসের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিম্নলিখিত করণীয় রয়েছে:
১. পূর্বাভাস ও সতর্কতা অবলম্বন: পাহাড় ধ্বসের পূর্বাভাস ও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এতে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমানো সম্ভব।
২. নিরাপদ স্থানে অবস্থান: পাহাড় ধ্বসের সময় নিরাপদ স্থানে অবস্থান করা উচিত। এক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।
৩. প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ: পাহাড় ধ্বসের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে:
- জরুরি সরঞ্জাম ও খাদ্যদ্রব্য মজুদ করা।
- নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা।
- পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা করা।
সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা
পাহাড় ধ্বসের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত থাকার জন্য নিম্নলিখিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে:
১. পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। এই পরিকল্পনায় হ্যান্ডহেল্ড রেডিও, স্যাটেলাইট ফোন, ব্যাটারি-চালিত মোবাইল ফোন বা জরুরি যোগাযোগ অ্যাপের মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও উপকরণগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
২. আপনার এলাকায় পাহাড় ধ্বস হলে যোগাযোগের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করুন। এই স্থানটি একটি উঁচু জায়গায় হওয়া উচিত যা ধ্বংসের আশঙ্কা কম।
৩. আপনার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগের নিয়মিত সময়সূচী নির্ধারণ করুন। এই সময়সূচীটি পাহাড় ধ্বসের সময় পরিবর্তিত হতে পারে।

জলোচ্ছ্বাসের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট ও করণীয়
সংকট : জলোচ্ছ্বাসের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি
জলোচ্ছ্বাসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিম্নলিখিত সংকটগুলি দেখা দিতে পারে:
১. মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের হুমকি: জলোচ্ছ্বাসের ফলে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এতে মানুষ আহত বা মারা যেতে পারে। জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ডুবে যাওয়া, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, বিষক্রিয়া, রোগ-বালাই ইত্যাদি ঘটনা ঘটতে পারে।
২. সম্পদের ক্ষতি: জলোচ্ছ্বাসের ফলে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসল, পশুপাখিসহ বিভিন্ন ধরনের সম্পদের ক্ষতি হতে পারে। এতে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জলোচ্ছ্বাসের ফলে ঘরবাড়ি, গাড়ি, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিকস, পণ্যসামগ্রী, ফসল, পশুপাল ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৩. পরিবেশগত ক্ষতি: জলোচ্ছ্বাসের ফলে ভূমিক্ষয়, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে। এতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। জলোচ্ছ্বাসের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের ভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বন্যার ফলে বন ধ্বংস হতে পারে, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে, সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ শেখ রাসেল পদক ২০২৩ বিজ্ঞপ্তি ও আবেদন ফরম
করণীয়: জলোচ্ছ্বাসের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি
জলোচ্ছ্বাসের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিম্নলিখিত করণীয় রয়েছে:
১. পূর্বাভাস ও সতর্কতা অবলম্বন: জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস ও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এতে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমানো সম্ভব। জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন:
ক. আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ: আবহাওয়াবিদরা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, বায়ুচাপ, বাতাসের গতিবেগ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দেন।
খ. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা পর্যবেক্ষণ: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা পর্যবেক্ষণ করে জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দেওয়া যেতে পারে।
গ. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দেওয়ার গবেষণা চলছে।
১. নিরাপদ স্থানে অবস্থান: জলোচ্ছ্বাসের সময় নিরাপদ স্থানে অবস্থান করা উচিত। এক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাব্য এলাকাগুলিতে নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলা যেতে পারে:
- ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নতুন ভবন নির্মাণ করা থেকে বিরত থাকা।
- ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া।
৩. প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ: জলোচ্ছ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে:
জরুরি সরঞ্জাম ও খাদ্যদ্রব্য মজুদ করা: জরুরি সরঞ্জাম ও খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে জলোচ্ছ্বাসের সময় কয়েক দিনের জন্য বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
৪. নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা: নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে জলোচ্ছ্বাসের সময় নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
৫. পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা করা: জলোচ্ছ্বাসের সময় পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের উপায় তৈরি করে রাখা উচিত।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা
জলোচ্ছ্বাসের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতিতে সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা
জলোচ্ছ্বাসের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত থাকার জন্য নিম্নলিখিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে:
১. পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। এই পরিকল্পনায় হ্যান্ডহেল্ড রেডিও, স্যাটেলাইট ফোন, ব্যাটারি-চালিত মোবাইল ফোন বা জরুরি যোগাযোগ অ্যাপের মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও উপকরণগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পরিকল্পনাটিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত:
- যোগাযোগের জন্য কোন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হবে?
- যোগাযোগের জন্য কীভাবে পূর্ব-নির্ধারিত সংকেত ব্যবহার করা হবে?
- যোগাযোগের জন্য কোন সময়সূচী অনুসরণ করা হবে?
২. আপনার এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হলে যোগাযোগের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করুন। এই স্থানটি একটি উঁচু জায়গায় হওয়া উচিত যা ধ্বংসের আশঙ্কা কম।
৩. আপনার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগের নিয়মিত সময়সূচী নির্ধারণ করুন। এই সময়সূচীটি জলোচ্ছ্বাসের সময় পরিবর্তিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট এবং করণীয়
ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের একটি সাধারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে। এই সংকটগুলি মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।
সংকট: ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায়
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতিতে নিম্নলিখিত সংকটগুলি দেখা দিতে পারে:
১. জীবনহানি: ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ প্রায় 200 কিলোমিটার/ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। এর ফলে বড় বড় গাছপালা উপড়ে পড়তে পারে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং মানুষ আহত বা নিহত হতে পারে।
২. অর্থনৈতিক ক্ষতি: ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফসলের ক্ষতি, অবকাঠামোগত ক্ষতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হতে পারে। এতে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়।
৩. খাদ্য ও পানি সংকট: ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যেতে পারে, ফলে খাদ্য ও পানির সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। এতে মানুষের মধ্যে খাদ্য ও পানি সংকট দেখা দিতে পারে।
৪. স্বাস্থ্য সমস্যা: ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্যা, জলাবদ্ধতা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিতে পারে। এতে মশাবাহিত রোগ, ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
৫. মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মানুষের মধ্যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং হতাশার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুনঃ নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কার কি করনীয় জেনে নিন
করণীয়: ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিম্নলিখিত করণীয়গুলি অনুসরণ করা উচিত:
১. ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন: ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।
২. প্রয়োজনীয় সরবরাহ সংগ্রহ করুন: ঘূর্ণিঝড়ের সময় খাদ্য, জল, ওষুধ, ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সরবরাহ সংগ্রহ করুন।
৩. পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করুন: ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী করবেন সে সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করুন।
৪. সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা করুন: ঘূর্ণিঝড়ের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে। তাই সংযুক্ত থাকার জন্য একটি পরিকল্পনা করুন।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা
ঘূর্ণিঝড়ের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে। তাই সংযুক্ত থাকার জন্য নিম্নলিখিত পরিকল্পনাগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ রাখুন: ঘূর্ণিঝড়ের আগে এবং পরে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।
- স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখুন: স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট তথ্য পান।
- রেডিও বা টিভিতে খবর শুনুন: রেডিও বা টিভিতে খবর শুনে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট তথ্য পান।
- মোবাইল ফোন ব্যবহার করুন: মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট তথ্য পান।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সচেতনতা এবং প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লেখিত সংকট এবং করণীয়গুলি সম্পর্কে সচেতন থাকলে আপনি নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন।

অনাবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট এবং করণীয়
অনাবৃষ্টি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা বাংলাদেশের মতো উষ্ণমন্ডলীয় দেশে একটি সাধারণ ঘটনা। অনাবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে। এই সংকটগুলি মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।
সংকট: অনাবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট
অনাবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতিতে নিম্নলিখিত সংকটগুলি দেখা দিতে পারে:
- খাদ্য সংকট: অনাবৃষ্টির কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়, ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।
- পানি সংকট: অনাবৃষ্টির কারণে পানির উৎস শুকিয়ে যায়, ফলে পানি সংকট দেখা দিতে পারে।
- স্বাস্থ্য সমস্যা: অনাবৃষ্টির কারণে মশাবাহিত রোগ, ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
- মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের মধ্যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং হতাশার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
করণীয়: অনাবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট
অনাবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিম্নলিখিত করণীয়গুলি অনুসরণ করা উচিত:
- অনাবৃষ্টির পূর্বাভাস ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন: অনাবৃষ্টির পূর্বাভাস পেলে তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য, জল, ওষুধ, ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সরবরাহ সংগ্রহ করুন।
- পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করুন: অনাবৃষ্টির সময় কী করবেন সে সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করুন।
- সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা করুন: অনাবৃষ্টির সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে। তাই সংযুক্ত থাকার জন্য একটি পরিকল্পনা করুন।
সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা
অনাবৃষ্টির সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে। তাই সংযুক্ত থাকার জন্য নিম্নলিখিত পরিকল্পনাগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ রাখুন: অনাবৃষ্টির আগে এবং পরে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।
- স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখুন: স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনাবৃষ্টির আপডেট তথ্য পান।
- রেডিও বা টিভিতে খবর শুনুন: রেডিও বা টিভিতে শুনে অনাবৃষ্টির আপডেট তথ্য পান।
- মোবাইল ফোন ব্যবহার করুন: মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনাবৃষ্টির আপডেট তথ্য পান।
অনাবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সচেতনতা এবং প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লেখিত সংকট এবং করণীয়গুলি সম্পর্কে সচেতন থাকলে আপনি নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে অনাবৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ পিএইচডি ফেলোশিপ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ এবং আবেদনের পদ্ধতি
মানব সৃষ্ট কারনে দূর্যোগ

জলাবদ্ধতা সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট ও করণীয়
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে জলাবদ্ধতা একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হয়ে উঠছে। বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি, নদীর অববাহিকার ভূমিক্ষয়, ভবন নির্মাণের ফলে নদীর প্রবাহ ব্যাহত হওয়া ইত্যাদি কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। জলাবদ্ধতা সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে।
সংকটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১. জলাবদ্ধতার কারণে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায়। পানিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী ইত্যাদির সংস্পর্শে এসে মানুষ ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
২. জলাবদ্ধতার কারণে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে গরমের মধ্যে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
৩. জলাবদ্ধতার কারণে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হয়। পণ্য পরিবহন ও বিপণন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পায়।
৪. জলাবদ্ধতার কারণে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসব সংকট মোকাবেলায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
- জলাবদ্ধতার কারণগুলো নির্মূলে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। নদীর অববাহিকার ভূমিক্ষয় রোধ, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নদীর প্রবাহ বিঘ্নিত না করা ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
- জলাবদ্ধতা মোকাবেলার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা। নদী খনন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
- জলাবদ্ধতা সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা। ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ ও জনবল সংগ্রহ করা, জলাবদ্ধ এলাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
এছাড়াও, জলাবদ্ধতা সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে:
- জলাবদ্ধ এলাকায় বসবাসকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। জলাবদ্ধতা সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত সে সম্পর্কে তাদের সচেতন করা।
- জলাবদ্ধতা সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তারা দ্রুত ও কার্যকর উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ মানসিক স্বাস্থ্য ও এর গুরুত্ব
সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা:
জলাবদ্ধতা সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত থাকার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
- স্থানীয় সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখুন। তারা জলাবদ্ধতা সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সে সম্পর্কে জানুন।
- রেডিও, টেলিভিশন, ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যমে খবরের সাথে আপ-টু-ডেট থাকুন।
- আপনার আশেপাশের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখুন। তাদের সাহায্য চাইতে পারেন।
জলাবদ্ধতা একটি বড় সমস্যা। তবে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব।

অগ্নিকান্ড সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংকট ও করণীয়
অগ্নিকান্ড একটি মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটি যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় ঘটতে পারে। অগ্নিকান্ড সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে।
সংকটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- মানুষের প্রাণহানি ও আহত হওয়া। অগ্নিতে পুড়ে, ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে বা আগুনে আটকা পড়ে অনেক মানুষ মারা যেতে পারে।
- স্থাপনা ও সম্পদের ক্ষতি। অগ্নিতে ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, কারখানা, অফিস-আদালত ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- পরিবেশ দূষণ। অগ্নিতে বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাস নির্গত হয়, যা পরিবেশ দূষণ করে।
এসব সংকট মোকাবেলায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
- অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি করা। অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি পর্যাপ্ত পরিমাণে সংগ্রহ করা, অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ প্রদান করা ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
- অগ্নিকান্ড সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ ও জনবল সংগ্রহ করা, অগ্নিকান্ড সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য একটি নিয়মিত প্রস্তুতিমূলক কর্মসূচি প্রণয়ন করা ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
এছাড়াও, অগ্নিকান্ড সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে:
- অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। অগ্নিকান্ড সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত সে সম্পর্কে তাদের সচেতন করা।
- অগ্নিকান্ড সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তারা দ্রুত ও কার্যকর উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা:
অগ্নিকান্ড সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত থাকার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
- স্থানীয় সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখুন। তারা অগ্নিকান্ড সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সে সম্পর্কে জানুন।
- রেডিও, টেলিভিশন, ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যমে খবরের সাথে আপ-টু-ডেট থাকুন।
- আপনার আশেপাশের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখুন। তাদের সাহায্য চাইতে পারেন।
নির্দিষ্ট করণীয়:
- অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হলে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করুন।
- **আগুন যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যান।
- আপনি যদি আটকা পড়েন, তাহলে শ্বাসরোধ না করে আগুনের উৎস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
- **আপনি যদি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন, তাহলে নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলুন।
অগ্নিকান্ড সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ মাইগভ রেজিষ্ট্রেশন ও প্রোফাইল ব্যবস্থাপনার কৌশল
রিফ্লেকশান পেপার বা প্রতিফলনমূলক প্রতিবেদন লিখা
সকল শিক্ষার্থীর উপস্থাপন শেষ হলে শিক্ষার্থী এককভাবে একটি প্রতিবেদন লিখবে, এখানে সম্পূর্ণ কাজ করতে তার কেমন লেগেছে, দলের কাজে তার ভুমিকা কি ছিল এবং কি কি নতুন জানার সুযোগ হয়েছে তা সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠায় লিখবে।
এই পর্যায়ে আমরা তোমাদের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণী ডিজিটাল প্রযুক্তি বাৎসরিক সামরিক মূল্যায়ন এসাইনমেন্টে জরুরি পরিস্থিতিতে কি কি করণীয় এবং সংকট মোকাবেলায় ধাপসমূহ এবং চূড়ান্ত দিবসে উপস্থাপনের জন্য একটি নমুনা প্রতিফলন মূলক লেখা দিলাম। নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব এবং কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে কাস্টমাইজ করে নিবে।
প্রতিফলন মূলক প্রতিবেদন
বিষয়: জরুরী পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ও সংযোগ
শ্রেণি: | ষষ্ঠ |
শিক্ষার্থীর নাম: | আপনার নাম |
তারিখ: | ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ |
ভূমিকা
আমার ডিজিটাল প্রযুক্তি পাঠ্য বইয়ের বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন এসাইনমেন্ট হিসেবে মানবসৃষ্ট এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে কি কি জরুরী পরিস্থিতি তৈরি হয়, জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি কি সংকট তৈরি হয়, সংকট নিরসনে করণীয় কি কি, জরুরী পরিস্থিতিতে মানুষের সাথে সংযুক্ত থাকার পদ্ধতি গুলো, এবং জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগের বিষয় নিয়ে একটি এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছিল।
আমি এবং আমার দল এই এসাইনমেন্টটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করেছি এবং চূড়ান্ত মূল্যায়ন দিবসে উপস্থাপন করেছি। এই এসাইনমেন্টটি সম্পন্ন করার ফলে আমি অনেক কিছু শিখেছি এবং আমার দলগত কাজের দক্ষতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করার অভিজ্ঞতা
এই এসাইনমেন্টটি সম্পন্ন করার অভিজ্ঞতা আমার কাছে খুবই উপভোগ্য ছিল। আমি নতুন কিছু শিখতে পেরে খুবই আনন্দিত ছিলাম। এসাইনমেন্টটি সম্পন্ন করতে আমাকে অনেক গবেষণা করতে হয়েছে।
আমি ইন্টারনেট, বই, এবং বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। আমি বিভিন্ন দুর্যোগের কারণ, প্রভাব, এবং মোকাবেলার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমি জরুরী পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ও সংযোগের গুরুত্ব সম্পর্কেও জানতে পেরেছি।
দলে আমার ভূমিকা
আমি আমার দলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। আমি এসাইনমেন্টের পরিকল্পনা, গবেষণা, এবং উপস্থাপনা প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছি। আমি আমার দলের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ভালোভাবে কাজ করতে পেরেছি এবং আমরা একসাথে একটি ভালো কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি।
নতুন জ্ঞান
এই এসাইনমেন্টটি সম্পন্ন করার ফলে আমি অনেক নতুন জ্ঞান অর্জন করেছি। আমি যেসব নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি সেগুলো হলো:
- মানবসৃষ্ট এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে কী কী জরুরী পরিস্থিতি তৈরি হয়
- জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় কী কী সংকট তৈরি হয়
- সংকট নিরসনে করণীয় কী কী
- জরুরী পরিস্থিতিতে মানুষের সাথে সংযুক্ত থাকার পদ্ধতি গুলো
- জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগের বিষয়
এই জ্ঞানগুলো আমার ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমি আশা করি এই জ্ঞানগুলো কাজে লাগিয়ে আমি যেকোনো জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারব।
উপসংহার
এই এসাইনমেন্টটি সম্পন্ন করা আমার জন্য একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা ছিল। আমি এই এসাইনমেন্টের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখেছি এবং আমার দলগত কাজের দক্ষতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি আশা করি এই জ্ঞানগুলো কাজে লাগিয়ে আমি যেকোনো জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারব।
ষষ্ঠ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা এই ছিল তোমাদের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তি পাঠ্য বইয়ের বার্ষিক সামস্তিক মূল্যায়ন চূড়ান্ত দিনের এসাইনমেন্ট সমাধান।
আশা করছি তোমরা এটি অনুসরণ করে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি সংকট হতে পারে এবং মোকাবেলায় করনীয় এবং সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা করতে পারবে এবং এসাইনমেন্টে তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব বর্ণনা করে একটি প্রতিফলন মূলক প্রতিবেদন লিখতে পারবে।
ষষ্ঠ শ্রেণি বার্ষিক পরীক্ষা অন্যন্য বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
ক্রমিক | তারিখ | বিষয় | অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম |
০১ | ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ডিজিটাল প্রযুক্তি | জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি সংকট হতে পারে এবং মোকাবেলায় করনীয় এবং সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা |
০২ | ২০ নভেম্বর ২০২৩ | ইসলাম শিক্ষা | সদয় ও দায়িত্বশীল আচরণ বিষয়ে স্ক্রিপ্ট তৈরি করে ভূমিকাভিনয় |
০৩ | ২১ নভেম্বর ২০২৩ | বিজ্ঞান | দৈনন্দিন ব্যবহার্য বিভিন্ন প্রযুক্তির ধরণ ও কাজ অনুসন্ধান এবং ব্যবহারের নীতিমালা তৈরি |