এই বছর ২০২৩ সালের সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীরা বাংলা বিষয়ে ‘বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প: সেমিনার’ সংক্রান্ত একটি অ্যাসাইনমেন্ট করবে। বছরব্যাপী তাদের অর্জিত জ্ঞান যাচাই করা হবে এর মাধ্যমে। এই আয়োজনে তোমাদের জন্য ৭ম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কাজ করার সম্পূর্ণ কৌশল জানাবো এবং একটি করে নমুনা উপস্থাপন করবো।
আমার বিশ্বাস নতুন ক্যারিকুলাম তুমি বা তোমরা খুব উপভোগ করছো। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও আনন্দের সাথে শেখার সুযোগ আছে এর মাধ্যমে। চলো তাহলে জেনে নিই ‘বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প: সেমিনার’ এর বিষয়ে বিস্তারিত।
সূচীপত্র
- 1 সপ্তম শ্রেণি বাংলা বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সারসংক্ষেপ
- 2 বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প দিবস ভিত্তিক কাজের বিবরণ
- 3 কাজ-১: বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশ্লেষণ মূলক রচনা লেখা
- 3.1 দল-১: বাঘ জরিপের তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণ মূলক রচনা তৈরি
- 3.2 শিরোনাম: বাঘের সংখ্যা হ্রাস: কারণ ও করণীয়
- 3.3 দল-২: কোভিড কালীন এবং পরবর্তী সময়ে পাঠ্যাভ্যাস এর উপর বিশ্লেষনমূলক রচনা
- 3.4 শিরোনাম: কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাস: একটি বিশ্লেষণ
- 3.5 দল-৩: কবির মায়ের সাথে মিলিয়ে নিজের মায়ের স্মৃতি নিয়ে রচনা
- 3.6 শিরোনাম: মায়ের স্মৃতি: রবীন্দ্রনাথ ও আমি
- 3.7 মায়ের ছবি
- 3.8 দল-ঘ: কাজী নজরুল ইসলামের গান ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায়’ কবিতার সাথে মিল করে নিজের এলাকার বৈশিষ্ট নিয়ে রচনা লিখা;
- 3.9 শিরোনাম: নজরুলের কবিতা ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায়’ সাথে নিজের এলাকার বৈশিষ্টের সাথে মিলিয়ে একটি বিশ্লেষণমূলক রচনা
- 4 দ্বিতীয় সেশন : বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প: সেমিনার
- 5 তৃতীয় সেশন : সপ্তম শ্রেণি বার্ষিক মূল্যায়ন বাংলা
সপ্তম শ্রেণি বাংলা বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সারসংক্ষেপ
আয়োজনের প্রথমেই জেনে নিব কি থাকছে তোমাদের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে বাংলা বিষয়ে। যেহেতু এই ক্যারিকুলাম একটি প্রয়োগিক শিক্ষা পদ্ধতি সেহেতু এখানে তোমরা সিলেবাস অনুযায়ী অর্জিত জ্ঞান কতটুকু কাজে লাগাতে পারছো সেটি যাচাই করা হবে।
সপ্তম শ্রেণি বার্ষিক মূল্যায়নের জন্য তোমাদের একটি সেমিনার আয়োজন করতে হবে। কাজটি করার জন্য শিক্ষক কিছু দলে বিভক্ত করে দেবেন। তোমরা এককভাবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর একটি রচনা তৈরি করবে।
এরপর দলগতভাবে সবাই মিলে আলোচনা করবে এবং নিজ নিজ দলের সকল সদস্যের কাজকে বিশ্লেষণমূলক রচনার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মূল্যায়ন করবে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সময়সূচি অনুযায়ী তা শুরু হবে ৯ নভেম্বর ২০২৩ থেকে।
একে অপরের লেখা মূল্যায়ন করার পর তোমরা নিজেদের লেখাকে সমন্বয় করে একটি লেখায় রুপান্তর করবে এবং সেটি তৃতীয় দিন সেমিনারে সকলের সামনে উপস্থাপন করবে। উপস্থাপনার পর প্রতি দলের লেখাকে বাকি দলের সদস্যরা মতামত প্রদান করবে।
বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প দিবস ভিত্তিক কাজের বিবরণ
বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৩ উৎসবে ৭ম শ্রেণির বাংলা বইয়ের ‘বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প: সেমিনার’ আয়োজন করতে গিয়ে তিন দিনের আলাদা আলাদা কর্মযজ্ঞ আছে। এখানে তার সারসংক্ষেপ জানাবো।
সেশন বা দিবস | তারিখ | কাজের বিবরণ |
---|---|---|
প্রথম | ০৯.১১.২০২৩ | বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশ্লেষণ মূলক রচনা লেখা; |
দ্বিতীয় | ১৫.১১.২০২৩ | কাজ-১: রচনা মূল্যায়ন করা; কাজ-২: দলীয় কাজের মূল্যায়ন করা; |
তৃতীয় (চূড়ান্ত) | ১৯.১১.২০২৩ | নির্বাচিত লেখা উপস্থাপন ও নিজেদের উপর প্রশ্ন উত্তর পরিচালনা; |
এবার তোমাদের অর্থ্যাৎ সপ্তম শ্রেণি বাংলা বার্ষিক পরীক্ষার অ্যাসাইনমেন্ট সেশন / দিবস ভিত্তিক কাজগুলো আলাদা আলাদা করে উপস্থাপন করবো এবং নমুনা সমাধান সরবরাহ করবো। তোমাদের প্রতি অনুরোধ অবশ্যই অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাবে।
প্রথম সেশন
সপ্তম শ্রেণির বাংলা বাৎসরিক সংস্কৃতির মূল্যায়ন নির্ধারিত কাজের প্রথম দিবসে তোমাদেরকে চারটি আলাদা বিষয়ের উপর বিশ্লেষণমূলক রচনা তৈরি করতে হবে।
কর্তৃপক্ষের দেয়া নির্দেশনা এখানে চারটি তথ্য দেয়া থাকবে এর আলোকে তোমাদের নিজেদের মেধা এবং বিভিন্ন সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করে রচনাগুলো তৈরি করে সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষকের নিকট জমা দিবে।
আরও দেখুনঃ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি সংকট হতে পারে এবং মোকাবেলায় করনীয় এবং সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা
কাজ-১: বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশ্লেষণ মূলক রচনা লেখা
চলো তাহলে আমরা প্রথমেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের দেয়া নির্দেশনা উল্লেখিত সপ্তম শ্রেণী বাংলা বিষয়ের প্রথম দিবসের কাজ গুলো দেখি এবং সম্ভাব্য উত্তর রচনা করি।
মনে রাখবে এটি একটি দলীয় কাজ। শিক্ষক তোমাদেরকে কাজের শুরুতে বা সেশন শুরু করার আগে কয়েকটি দলে ভাগ করবেন এবং প্রতিটি দলকে একটি করে বিষয়ের উপর বিশ্লেষণমূলক রচনা লিখতে বলবেন। যেহেতু এখানে চারটি বিষয়ের উপর রচনা রয়েছে তাই চারটি দলে ভাগ করা ভালো হবে।
দল-১: বাঘ জরিপের তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণ মূলক রচনা তৈরি
নিচে একটি ছকে ২০১০ সাল এবং ২০১৫ সালের জরিপে কয়েকটি দেশের বাঘের সংখ্যা দেয়া আছে। এগুলো বিশ্লেষণ করে একটি রচনা লিখতে হবে।
প্রথমে জরিপের তথ্যটি ভালোভাবে লক্ষ্য করো

জরিপে তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০ টি, ভুটানে ৭৫ টি, কম্বোডিয়ায় ৫০ টি, ভারতে ১৭০৬ টি, মিয়ানমারে ৮৫ টি, নেপালে ১২১ টি, ভিয়েতনামে ২০ টি বাঘ ছিল।
২০১৫ সালের জরিপে দেখা যায় বাংলাদেশের বাঘের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০৬ টি, ভুটানে বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৩ টি, কম্বোডিয়ার একটিও নেই, ভারতে হয়েছে ২২২৬ টি, মিয়ানমারে সংখ্যা অপরিবর্তিত ৮৫ টি, নেপালে ১৯৮ টি, থাইল্যান্ডে বাঘের সংখ্যা কমে হয়েছে ১৮৯টি এবং ভিয়েতনামে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচটিতে।
এবার আমরা উপরোক্ত তথ্যটি বিশ্লেষণ করে একটি রচনা লিখব

শিরোনাম: বাঘের সংখ্যা হ্রাস: কারণ ও করণীয়
ভূমিকা:
বাঘ হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী প্রাণীগুলোর মধ্যে একটি। এটি একটি বিপন্ন প্রজাতি এবং এর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।
২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম এই ১০টি দেশে বাঘের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৫০%।
এটি একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এবং এর কারণ ও করণীয় সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি।
এই পরিস্থিতির কারণ:
বাঘের সংখ্যা হ্রাসের প্রধান কারণ হলো অবৈধ শিকার। বাঘের চামড়া, হাড়, দাঁত ও অন্যান্য অংশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে বাঘ শিকারকারীরা বাঘ হত্যা করে এসব অংশ অবৈধভাবে বিক্রি করে থাকে।
এছাড়াও, বাঘের আবাসস্থল ধ্বংস, বনজঙ্গল উজাড়, শিল্পায়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদিও বাঘের সংখ্যা হ্রাসের কারণ।
নিয়ন্ত্রণে করণীয়:
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য অবৈধ শিকার বন্ধ করা জরুরি। এজন্য সরকারের পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। অবৈধ শিকারে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও, বাঘের আবাসস্থল সংরক্ষণ ও বনজঙ্গল উজাড় রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে:
বাংলাদেশের সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং এটি বাঘের অন্যতম প্রধান আবাসস্থল। সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা হ্রাসের প্রধান কারণ হলো অবৈধ শিকার। এছাড়াও, বনজঙ্গল উজাড়, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদিও বাঘের সংখ্যা হ্রাসের কারণ।
বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য অবৈধ শিকার বন্ধ করা জরুরি। এজন্য সুন্দরবনে নিয়মিত টহল পরিচালনা, অবৈধ শিকারে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, স্থানীয় জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও, সুন্দরবনের বনজঙ্গল সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
উপসংহার:
বাঘের সংখ্যা হ্রাস একটি গুরুতর সমস্যা। এর ফলে বাঘের আবাসস্থল ধ্বংস, পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা, জীববৈচিত্র্য হ্রাস ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
আরও দেখুনঃ জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা
দল-২: কোভিড কালীন এবং পরবর্তী সময়ে পাঠ্যাভ্যাস এর উপর বিশ্লেষনমূলক রচনা
প্রথমে নিচের তালিকাটি দেখো, এখানে করোন ভাইরাস মহামারী চলাকালীন এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে একটি বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বই পড়ার অভ্যাস দেওয়া হয়েছে। এটি বিশ্লেষন করে তোমাকে একটি রচনা তৈরি করতে হবে।

এখানে দেখা যাচ্ছে ‘ক’ নাম একটি বিদ্যালয়ে সাত জন শিক্ষার্থীর ২০২০-২০২১ সালে পঠিত বইয়ের সংখ্যা এবং ২০২২-২০২৩ সালে অর্থ্যাৎ করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে পঠিত বইয়ের সংখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনু চাকমা কোভিড কালীন বই পয়েছে ১২২ টি এবং পরবর্তী সময়ে পড়েছে ৯৬ টি, একই ভাবে পূরবী সরকার ৭৫ পরে ৫২ টি, অবন্তি রচনা ১১২ – ৯১ টি, মাহমুদ ৮৮ টি – ৫৪ টি, দিতি রানী দে ১০৯ – ৯০ টি, প্রবাল কুমার ৯৪ টি – ৫৬ টি, নাজনিন ১০২ টি এবং পরে ৮৪ টি।
ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনু চাকমা কোভিড কালীন বই পয়েছে ১২২ টি এবং পরবর্তী সময়ে পড়েছে ৯৬ টি, একই ভাবে পূরবী সরকার ৭৫ পরে ৫২ টি, অবন্তি রচনা ১১২ – ৯১ টি, মাহমুদ ৮৮ টি – ৫৪ টি, দিতি রানী দে ১০৯ – ৯০ টি, প্রবাল কুমার ৯৪ টি – ৫৬ টি, নাজনিন ১০২ টি এবং পরে ৮৪ টি।
এবার আমরা উপরোক্ত তথ্যটি বিশ্লেষণ করে একটি রচনা লিখব

আরও পড়ুনঃ মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের কৌশল: নিজের যত্ন নেওয়া ও চাপ নিরসনে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম
শিরোনাম: কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাস: একটি বিশ্লেষণ
ভূমিকা:
বই পড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। এটি শিক্ষা, বিনোদন, বিকাশ ও বোধশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ সময় তারা বাড়িতে থেকে অনলাইনে ক্লাস করতে থাকে। এই সময় শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাসে কী পরিবর্তন এসেছে সে সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
তথ্য ও বিশ্লেষণ:
‘ক’ নামের একটি বিদ্যালয়ে সাত জন শিক্ষার্থীর ২০২০-২০২১ সালে পঠিত বইয়ের সংখ্যা এবং ২০২২-২০২৩ সালে অর্থ্যাৎ করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে পঠিত বইয়ের সংখ্যা নিম্নরূপ:
শিক্ষার্থীর নাম | ২০২০-২০২১ | ২০২২-২০২৩ |
---|---|---|
মিনু চাকমা | ১২২ | ৯৬ |
পূরবী সরকার | ৭৫ | ৫২ |
অবন্তি রচনা | ১১২ | ৯১ |
মাহমুদ | ৮৮ | ৫৪ |
দিতি রানী দে | ১০৯ | ৯০ |
প্রবাল কুমার | ৯৪ | ৫৬ |
নাজনিন | ১০২ | ৮৪ |
আজমল আহমেদ | ১১৯ | ৯২ |
এই তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাসে কিছুটা হ্রাস এসেছে। গড়ে প্রতি শিক্ষার্থীর পঠিত বইয়ের সংখ্যা ২০২০-২০২১ সালে ১০৪.৩টি থেকে কমে ২০২২-২০২৩ সালে ৮১.৪টি হয়েছে।
এই হ্রাসের কারণ হিসেবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোকে উল্লেখ করা যেতে পারে:
১. কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার হার বেড়েছে। স্কুলে যাওয়ার সময় তারা বই পড়ার জন্য কম সময় পায়।
২. কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার বেড়েছে। তারা বেশিরভাগ সময় মোবাইল ফোন, কম্পিউটার বা ট্যাবলেটে ভিডিও গেম, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য অনলাইন অ্যাপ ব্যবহার করে।
৩. কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপ বেড়েছে। এটি তাদের বই পড়ার আগ্রহ কমিয়ে দিতে পারে।
উপসংহার:
কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাসে হ্রাস একটি উদ্বেগজনক বিষয়। এটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও বিকাশের জন্য ক্ষতিকর। এই হ্রাস রোধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
ক. শিক্ষার্থীদের বই পড়ার জন্য সময় ও সুযোগ সৃষ্টি করা।
খ. শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
গ. ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা।
ঘ. শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করা।
আরও দেখুনঃ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে শিক্ষকগণের পালনীয় নীতি
দল-৩: কবির মায়ের সাথে মিলিয়ে নিজের মায়ের স্মৃতি নিয়ে রচনা
এই পর্যায়ে শিক্ষক তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শিশু ভোলানাথ” কাব্যগ্রন্থ থেকে ‘মনে পড়া’ কবিতাটি বোর্ড/ প্রেজেন্টার/ পোস্টারে লিখে দেখাবেন।
তোমরা কবিতাটি পড়ে কবিতায় কবির মায়ের সাথে কবির স্মৃতির সাথে তোমায় মায়ের সাথে তোমার স্মৃতি মিলিয়ে একটি বিশ্লেষনাত্বক রচনা তৈরি করবে। সেই সাথে তোমার মায়ের একটি ছবিও নিজের মত করে আঁকবে।

শিরোনাম: মায়ের স্মৃতি: রবীন্দ্রনাথ ও আমি
ভূমিকা:
মায়ের স্মৃতি হলো একটি অমূল্য সম্পদ। মায়ের স্মৃতি আমাদের শৈশবের আনন্দ, বেদনা, ভালোবাসা ও স্নেহের কথা মনে করিয়ে দেয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া’ কবিতায় কবি তার সন্তানের মায়ের স্মৃতিচারণ করেছেন।
এই কবিতাটি আমার নিজের মায়ের স্মৃতির সাথে মিলিয়ে একটি বিশ্লেষণাত্মক রচনা তৈরি করেছি।
কবির মায়ের স্মৃতি:
কবিতাটিতে কবি তার সন্তানের মায়ের স্মৃতিচারণ করেছেন। তিনি তার সন্তানের ছোটবেলার খেলাধুলা, আনন্দ-বেদনা, ভালোবাসা-স্নেহের কথা স্মরণ করেছেন। তিনি তার সন্তানের মায়ের স্মৃতিও স্মরণ করেছেন।
কবি তার সন্তানের মাকে “মনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা” একটি “গান” বলেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি যখন খেলাধুলা করেন, তখন হঠাৎ অকারণে তার মায়ের কথা মনে পড়ে। তার মায়ের কথা মনে পড়লে তিনি যেন তার খেলার মধ্যেই তার মায়ের কথা মিলিয়ে নেন।
কবি তার সন্তানের মায়ের কথা মনে করে বলেন, তার মা বুঝি তার দোলনা ঠেলে ঠেলে গান গাইতেন। কিন্তু এখন তার মা নেই, আর তার মায়ের গানও নেই।
আমার মায়ের স্মৃতি:
মায়ের স্মৃতিও আমার শৈশবের আনন্দ, বেদনা, ভালোবাসা ও স্নেহের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমার মায়ের স্মৃতি আমার কাছে একটি অমূল্য সম্পদ।
আমার মায়ের সাথে আমার অনেক স্মৃতি আছে। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার মা আমাকে নিয়ে খেলতেন, গল্প বলতেন, গান গাইতেন। আমার মা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। তিনি আমাকে ভালো মানুষ হতে শিখিয়েছেন।
মায়ের স্মৃতি আমার মনের মধ্যে গেঁথে আছে। আমি যখনই আমার মায়ের কথা মনে করি, তখনই আমার মন ভালো হয়ে যায়।
বিশ্লেষণ:
কবির মায়ের স্মৃতি এবং আমার মায়ের স্মৃতি অনেক মিল রয়েছে। উভয় মায়ের স্মৃতিই তাদের সন্তানদের শৈশবের আনন্দ, বেদনা, ভালোবাসা ও স্নেহের সাথে জড়িত। উভয় মায়ের স্মৃতিই তাদের সন্তানদের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ;
তবে উভয় মায়ের স্মৃতির মধ্যে কিছু পার্থক্যও রয়েছে। কবির মায়ের স্মৃতি তার সন্তানের সাথে তার মায়ের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে রচিত। কবি তার সন্তানের সাথে তার মায়ের সম্পর্কের কথা স্মরণ করেছেন।
আমার মায়ের স্মৃতি আমার মায়ের ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্র করে রচিত। আমি আমার মায়ের ব্যক্তিত্বের কথা স্মরণ করেছি।
উপসংহার:
মায়ের স্মৃতি হলো একটি অমূল্য সম্পদ। মায়ের স্মৃতি আমাদের শৈশবের আনন্দ, বেদনা, ভালোবাসা ও স্নেহের কথা মনে করিয়ে দেয়। কবির মায়ের স্মৃতি এবং আমার মায়ের স্মৃতি উভয়ই আমাদের জন্য একটি পথপ্রদর্শক। এটি আমাদের ভালো মানুষ হতে অনুপ্রাণিত করে।
আরও দেখুনঃ শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণসমূহ
মায়ের ছবি
দল-ঘ: কাজী নজরুল ইসলামের গান ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায়’ কবিতার সাথে মিল করে নিজের এলাকার বৈশিষ্ট নিয়ে রচনা লিখা;
সপ্তম শ্রেণি বাংলা বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন প্রথম দিবসে বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প: সেমিনার কার্যক্রমে কাজী নজরুল ইসলামের গান ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায়’।
এই কবিতাটি পড়ে নিজের এলাকার বৈশিষ্টের সাথে মিলিয়ে একটি বিশ্লেষণমূলক রচনা তৈরি করো। নিজের এলাকা গ্রাম, শহর কিংবা মফস্বল হতে পারে।

শিরোনাম: নজরুলের কবিতা ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায়’ সাথে নিজের এলাকার বৈশিষ্টের সাথে মিলিয়ে একটি বিশ্লেষণমূলক রচনা
পরিচয়:
আমার এলাকা একটি গ্রাম। এটি বাংলাদেশের একটি মফস্বল এলাকা। এলাকার চারপাশে সবুজ শ্যামল মাঠ, ধানের খেত, ফুলের বাগান, পুকুর, নদী, সবই রয়েছে। বসন্তে এলাকা ফুলে ফুলে ভরে ওঠে।
আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, নারিকেল, সবই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ফলগুলোর মধুর গন্ধে প্রকৃতি মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। গ্রীষ্মে এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
বৃষ্টির জলে শ্যামল প্রকৃতি আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। শরতে এলাকায় শিউলি, হাসনাহেনা, মালতী, বেলি, সবুজ সারা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। শীতকালে এলাকায় খোলা আকাশের নীচে জ্যোৎস্না আর তারার মেলা বসে।
নজরুলের কবিতা ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায়’ সাথে মিল ও অমিল:
নজরুলের কবিতা ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায়’ গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য বর্ণনা করে। কবিতাটিতে কবি বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরৎ, শীত—এই চারটি ঋতুর বর্ণনা দিয়েছেন।
প্রতিটি ঋতুতে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি যেন নতুন রূপে সেজে ওঠে। কবি এই সৌন্দর্যকে তার পল্লী জননীর রূপের সাথে তুলনা করেছেন।
আমার এলাকার সাথে কবিতার বেশ কিছু মিল রয়েছে। আমার এলাকাও গ্রাম বাংলার অন্তর্গত। আমার এলাকার চারপাশেও সবুজ শ্যামল মাঠ, ধানের খেত, ফুলের বাগান, পুকুর, নদী, সবই রয়েছে।
বসন্তে আমার এলাকাও ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, নারিকেল, সবই আমার এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ফলগুলোর মধুর গন্ধে প্রকৃতি মাতোয়ারা হয়ে ওঠে।
গ্রীষ্মে আমার এলাকায়ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির জলে শ্যামল প্রকৃতি আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। শরতে আমার এলাকায়ও শিউলি, হাসনাহেনা, মালতী, বেলি, সবুজ সারা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। শীতকালে আমার এলাকায়ও খোলা আকাশের নীচে জ্যোৎস্না আর তারার মেলা বসে।
তবে কিছু অমিলও রয়েছে। আমার এলাকায় কবির বর্ণিত ঝঞ্ঝার মতো তীব্র বৃষ্টিপাত হয় না। তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রচুর। আমার এলাকায় কবির বর্ণিত অশনি খেলা দেখা যায় না। তবে বৃষ্টির সময় আকাশে মেঘের খেলা দেখা যায়।
উপসংহার:
নজরুলের কবিতা ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায়’ গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছে। কবিতাটি গ্রাম বাংলাকে তার পল্লী জননীর সাথে তুলনা করেছে।
আমার এলাকার সাথে কবিতার বেশ কিছু মিল রয়েছে। এসব মিল আমাদেরকে গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যকে আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।
মিল | অমিল |
---|---|
আমার এলাকাও গ্রাম বাংলার অন্তর্গত। | আমার এলাকায় কবির বর্ণিত ঝঞ্ঝার মতো তীব্র বৃষ্টিপাত হয় না। তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রচুর। |
আমার এলাকার চারপাশেও সবুজ শ্যামল মাঠ, ধানের খেত, ফুলের বাগান, পুকুর, নদী, সবই রয়েছে; | আমার এলাকায় কবির বর্ণিত অশনি খেলা দেখা যায় না। তবে বৃষ্টির সময় আকাশে মেঘের খেলা দেখা যায়। |
বসন্তে আমার এলাকাও ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। |
শেষ কথা:
নজরুলের কবিতা ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায়’ আমাদের গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যকে নতুন করে আবিষ্কার করার সুযোগ করে দেয়। কবিতার মাধ্যমে আমরা গ্রাম বাংলার প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করতে পারি।
আমাদের এলাকার সাথে কবিতার মিল আমাদেরকে গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যকে আরও কাছের করে আনে।
আরও কিছু যোগ করা যেতে পারে:
- কবিতার শেষ লাইনে কবি গ্রাম বাংলাকে রত্নভান্ডার বলে উল্লেখ করেছেন। আমার এলাকাও গ্রাম বাংলার অংশ। তাই আমার এলাকাও একটি রত্নভান্ডার। আমার এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধান, পাট, গম, আলু, সবজি, ফল, ইত্যাদি উৎপন্ন হয়। এছাড়াও, আমার এলাকায় প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে।
- কবি গ্রাম বাংলাকে তার মা বলে উল্লেখ করেছেন। আমার এলাকাও আমার মাতৃভূমি। তাই আমার এলাকাকে আমিও আমার মা বলে মনে করি। আমার এলাকা আমার কাছে অনেক প্রিয়।
আরও দেখুনঃ ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ ২০২৩ পালনের নির্দেশনা
দ্বিতীয় সেশন : বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প: সেমিনার
সপ্তম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নে ২টি কাজ আছে। প্রথমে শিক্ষার্থীরা তাদের লেখা বিভিন্ন টপিকের উপর লেখা তাদের একক রচনা গুলো সংগ্রহ করবে এবং প্রতি দল থেকে ২টি করে জমা দিবে। এরপর সেগুলো নিজেরা আবার মূল্যায়ন করবে।
কাজ ১: রচনা মূল্যায়ন করা;
এটি একটি দলীয় কাজ। দলে সকলে মিলে তাদের দলের অন্য সবার লেখাগুলো পড়বে ও বিশ্লেষণমূলক রচনার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী তাকে মূল্যায়ন করবে। সকলে নিজেদের থিম অনুযায়ী করা একক রচনা নিয়ে আলোচনা করে একটি রচনায় তাকে সমন্বয় করবে।
সমন্বয় করলেও যার যার একক লেখাও শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি দল থেকে একক লেখা এবং সমন্বিত লেখা দুইটিই মূল্যায়নের জন্য শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে।
কাজ-২: দলীয় কাজে সদস্যদের মূল্যায়ন;
এই কাজটি শিক্ষার্থীরা তাদের দলের করা কাজ অন্যের মাধ্যমে মূল্যায়ন করবে। মূল্যায়ন ছকে নিচের তথ্যগুলো অনুযায়ী ছক পূরণ করবে। তোমাদের জন্য একটি নমুনা দেওয়া হবে। ছবিটি অনুসরণ করে তোমাদের খাতায় তালিকা করবে।
১. প্রথমে দলের সদস্যদের নাম ও রোল;
২. দলীয় কাজে তার অংশগ্রহণ কতটা সক্রিয় ছিল?
৩. নিজের লেখা নিয়ে কারো সমালোচনা শোনার পর তার অভিব্যক্তি কেমন ছিল?
৪. দলীয় কাজে কারো কাজের সমালোচনা করার সময় তার মতামত প্রদান করার কায়দা কতটা ইতিবাচক ছিল?

দ্বিতীয় দিবসের মূল্যায়ন বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প: সেমিনার
দলের সদস্যদের নাম ও রোল | দলীয় কাজে অংশগ্রহণ | নিজের লেখা নিয়ে কারো সমালোচনা শোনার পর অভিব্যক্তি | দলীয় কাজে কারো কাজের সমালোচনা করার সময় মতামত প্রদান করার কায়দা |
---|---|---|---|
আমি | খুব সক্রিয় | ইতিবাচক | ইতিবাচক |
আরিফ | সক্রিয় | ইতিবাচক | ইতিবাচক |
রুনা | খুব সক্রিয় | ইতিবাচক | ইতিবাচক |
রাশেদ | সক্রিয় | ইতিবাচক | ইতিবাচক |
মিলন | সক্রিয় | ইতিবাচক | ইতিবাচক |
আসিফ | সক্রিয় | ইতিবাচক | ইতিবাচক |
আলম | সক্রিয় | ইতিবাচক | ইতিবাচক |
সাবিনা | সক্রিয় | ইতিবাচক | ইতিবাচক |
আফজাল | সক্রিয় | ইতিবাচক | ইতিবাচক |
আরও দেখুনঃ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা
বিস্তারিত
দলীয় কাজে অংশগ্রহণ
আমার দলের প্রত্যেক সদস্যই দলীয় কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। তারা সকলেই নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে।
কেউ কেউ অন্যদের তুলনায় একটু বেশি সক্রিয় ছিল, যেমন আমি, আরিফ, রুনা, রাশেদ, মিলন, আসিফ, আলম, সাবিনা। তবে সবাইই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
নিজের লেখা নিয়ে কারো সমালোচনা শোনার পর অভিব্যক্তি
আমার দলের সদস্যরা সবাইই নিজের লেখা নিয়ে কারো সমালোচনা শোনার পর ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। তারা সমালোচনার মূল্য দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী তাদের লেখা সংশোধন করেছে।
কেউ কেউ একটু বেশি আবেগপ্রবণ ছিল, যেমন আমি। তবে সবাইই সমালোচনাকে গ্রহণ করার মানসিকতা রাখে।
দলীয় কাজে কারো কাজের সমালোচনা করার সময় মতামত প্রদান করার কায়দা
আমার দলের সদস্যরা সবাইই দলীয় কাজে কারো কাজের সমালোচনা করার সময় ইতিবাচকভাবে মতামত প্রদান করেছে। তারা সমালোচনা করার সময় ব্যক্তিগত আক্রমণ এড়িয়ে গেছে।
তারা সমালোচনার মাধ্যমে কাজটিকে আরও ভালো করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। কেউ কেউ একটু বেশি সরাসরি ছিল, যেমন আরিফ। তবে সবাইই সমালোচনা করার সময় ইতিবাচক মনোভাব বজায় রেখেছে।
এই মূল্যায়নটি দলের সদস্যদের কাজের প্রতি আমার ব্যক্তিগত মতামত। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন নয়। দলের সদস্যদের কাজের সম্পূর্ণ মূল্যায়ন করার জন্য আরও অনেক বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন।
তৃতীয় সেশন : সপ্তম শ্রেণি বার্ষিক মূল্যায়ন বাংলা
এই দিবসে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলা বিষয়ের বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন উৎসবে বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প: সেমিনার আয়োজন করতে গিয়ে তাদের লিখিত প্রতিবেদনগুলো দলীয় ভাবে উপস্থাপন করবে।
প্রতি দলের লেখা দল থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থী উপস্থাপন করবে। উপস্থাপনা শেষে শিক্ষার্থীকে অন্য দলের সদস্যরা তার লেখা নিয়ে প্রশ্ন করবে এবং নিজেদের মতামত দিবে। শিক্ষার্থী তাদের মতামতের প্রেক্ষিতে প্রশ্নের উত্তর করবে।
সপ্তম শ্রেণি বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সকল অ্যাসাইনমেন্ট
বিষয়ের নাম | অনুষ্ঠানের তারিখ | অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম |
---|---|---|
বাংলা | ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প: সেমিনার |
জীবন ও জীবিকা | ২০ নভেম্বর ২০২৩ | হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন করি এবং প্রতিবেদন প্রণয়ন করি |
গণিত | ২১ নভেম্বর ২০২৩ | |
স্বাস্থ্য সুরক্ষা | ২২ নভেম্বর ২০২৩ | |
ইংরেজি | ২৩ নভেম্বর ২০২৩ | |
ডিজিটাল প্রযুক্তি | ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | |
ইসলাম শিক্ষা | ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | |
বিজ্ঞান | ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | |
শিল্প ও সংস্কৃতি | ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | |
ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান | ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |
আমাদের সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য ফেসবুক পেইজ লাইক ও ফলো করে রাখুন। আমাদের অধ্যয়ন গ্রুপে যোগ দিন।