এবার ২০২৩ সালে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের করণীয় সম্পর্কে একটি নির্দেশনা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। উন্নত বিশ্বের সাথে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমন্বয় করা শিক্ষার্থীদের বাস্তবসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করনের জন্য মন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কার কি করনীয় সে সম্পর্কে জানানোর জন্য অধিদপ্তর থেকে পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ সাল থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে প্রয়োগ করা হচ্ছে এই শিক্ষাক্রম এবং ধারাবাহিকভাবে এটি পরবর্তী শ্রেণীগুলোতে ব্যবহার করা হবে।
শিক্ষাক্রম টি সম্পূর্ণ নতুন হওয়ায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন মহলে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। যদিও মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করেছে তবুও ক্যারিকুলাম টি সম্পূর্ণ নতুন হওয়ায় সবাই তাদের করণীয় সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারেনি।
সূচীপত্র
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে করণীয়
সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ সম্পর্কে ধারণা দেয়া এবং সংশ্লিষ্ট মহলের উপর অর্পিত দায়িত্ব গুলো বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ০২ মে ২০২৩ অধিদপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
স্বপ্ন ইশকুল ডটকমের পাঠকদের জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নতুন কারিকুলাম শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের করণীয় এবং পালনীয় নির্দেশনা সমূহ তুলে ধরা হলো।
- আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক ফার্স্ট এইড (পার্ট ১) প্রশিক্ষণ বিস্তারিত
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্টদের করণীয়
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্টদের নিম্নোক্ত নির্দেশনা/করণীয় যথাযথভাবে প্রতিপালন করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের করণীয়
যেহেতু শিক্ষার্থীদের সময়োপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য মন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জাতীয় শিক্ষাক্রম 2022 চালু করেছে সেহেতু সর্বপ্রথম তাদের করনীয় জানতে হবে।
১. নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাওয়া এবং শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা ।
২. সঠিক সময়ে পড়াশুনা করা, খাওয়া, ঘুমানো এবং মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলায় অংশ নেয়া ৷
৩. এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত পাঠ্যপুস্তক ও সম্পূরক পঠন সামগ্রী পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
৪. নতুনকে গ্রহণ করার উপযুক্ত মানসিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করা।
৫. সরকার প্রদত্ত শিখন সামগ্রী যথাসময়ে সংগ্রহ করা।
৬. শ্রেণিকক্ষে এবং শ্রেণিকক্ষের বাইরে Activity based learning কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করা।
৭. বিদ্যালয় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে শ্রেণি শিক্ষকের সাথে আলাপ করা।
৮. অবসর সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ সৃজনশীল বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
৯. শিখন সংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয় নিয়ে অভিভাবকের (মা/বাবা) সাথে কথা বলে পরামর্শ গ্রহণ করা।
১০. নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে শিখনের সর্বক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করা।
১১. দলগত কাজে সহপাঠীদের মূল্যায়নে নিরপেক্ষতা, সততা এবং নৈতিকতা বজায় রাখা।
১২. স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য গঠিত ক্লাবসমুহের মধ্যে অন্তত দুটি ক্লাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করা।
শিক্ষাক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উপরোক্ত ১২ টি কার্যক্রম করতে হবে। অন্যথায় সঠিক শিখনফল অর্জন করা সম্ভব হবেনা।
অভিভাবকদের করণীয়
নতুন এই শিক্ষা পদ্ধতি সফল করতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। অভিভাবকরা কি করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল-
১. সন্তানদের/শিক্ষার্থীদেরকে নিজের এবং বাড়ির ছোট ছোট কাজগুলো করানোর বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করা;
২. সন্তানদের/শিক্ষার্থীদের সময় দেওয়া, তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করা;
৩. সন্তানদেরকে/শিক্ষার্থীদেরকে ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়া এবং ভুল/অপ্রয়োজনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করা;
৪. কারিকুলাম বিস্তরণে অভিভাবকদের যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করা;
৫. সন্তানদের/শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা;
৬. সন্তানদের/শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট/কোচিং এ নিরুৎসাহিত করা;
৭. সন্তানদের/শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে নিরপেক্ষতা, সততা এবং নৈতিকতা বজায় রাখা;
৮. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকা;
ক্যারিকুলাম বাস্তবায়নে শ্রেণি শিক্ষকদের করণীয়
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কার কি করনীয় শীর্ষক নির্দেশনায় এবার আমরা জানবো শিক্ষকদের করণীয়। শেখন-শেখানো কার্যক্রমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শ্রেণি শিক্ষক।
শিক্ষকরা ক্লাসে শিক্ষার্থীদের শেখানোর কার্যক্রম করেন। তাই শিক্ষকদের সবগুলো করণীয় সম্পর্কে জেনে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করবেন। নিচের নির্দেশনাগুলো ভালোভাবে দেখুন-
১. টিচার্স গাইড ও পাঠ সংশ্লিষ্ট উপকরণসহ শিখন শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করা;
২. গতানুগতিক শিক্ষককেন্দ্রিক পদ্ধতি পরিহার করে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করা;
৩. প্রকৃতপক্ষে প্রচলিত ভূমিকার ঊর্ধ্বে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক হয়ে উঠবেন সহ-শিক্ষার্থী;
৪. হোম ভিজিট ও উঠান বৈঠক করা;
৫. প্রকল্পভিত্তিক কাজ ও অনুসন্ধানমূলক কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, ডায়রি ব্যবহারে উৎসাহিত করা;
৬. শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য সহয়তামূলক একীভূত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিখন পরিবেশ নিশ্চিত করবেন যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিখনের উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়;
৭. শ্রেণি শিক্ষক যে সকল সমস্যা চিহ্নিত করবেন, তা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রধান শিক্ষকের সাথে সাপ্তাহিক সভায় আলোচনা করা ও সমস্যা সমাধানের কৌশল নির্ধারণ করা;
৮. বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা;
৯. Slow Learner/Advance Learner চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী শিখন কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং তাদের শিখন পরিস্থিতি উন্নয়নে কার্যকর কৌশল প্রয়োগ;
১০. মূল্যায়নের মূলনীতি অনুসরনপূর্বক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন যোগ্যতার মূল্যায়ন নিশ্চিতকরণ ও মূল্যায়নের ধারাবাহিক রেকর্ড সংরক্ষণ;
১১. শিক্ষার্থীদের দলগত কাজসহ সামগ্রিক মূল্যায়নে নিরপেক্ষতা, সততা এবং নৈতিকতা বজায় রাখা;
১২. শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিখন পরিবেশ তৈরি করতে শিক্ষককে মূলত Facilitator এর ভূমিকা পালন করা;
১৩. শ্রেণি কক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে কারিকুলাম সংশ্লিষ্ট বাস্তব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আদান প্রদানের একটা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা;
উপরোক্ত ১৩ টি নির্দেশনা শ্রেণি শিক্ষকগণ ক্লাসে প্রয়োগ করবেন। তাতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিষ্ঠান প্রধানদের করণীয়
সবারমত প্রতিষ্ঠানের প্রধান এই ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনিই যেহেতু প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। শ্রেণি শিক্ষকদেরসহ নিয়ন্ত্রণ করেন। তাই এইবার জানবো নতুন ক্যারিকুলাম বাস্তবায়ন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ যেসকল দায়িত্ব পালন করবেন।
১. এনসিটিবি কর্তৃক প্রদত্ত রুটিন/গাইড লাইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম নিশ্চিত করা;
২. শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং শিখন কার্যক্রম পরিচালনায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করা;
৩. শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করা;
৪. শিক্ষাক্রমে নির্দেশিত কৌশল ও পদ্ধতি শ্রেণি পাঠদানে অনুসৃত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা;
৫. শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরী বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ছোট পরিসরে শিক্ষা উপকরণ মেলার আয়োজন করা;
৬. শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ অংশিজনের সক্রিয় সমর্থন ও অংশগ্রহণের জন্য সমন্বিত গণযোগাযোগ কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা;
৭. বছরে ০৩টি অভিভাবক সমাবেশ নিশ্চিত করা এবং অভিভাবকদের সুবিধাজনক গ্রুপ করে শ্রেণি কার্যক্রম দেখার ব্যবস্থা করা;
৮. যে সকল শিক্ষকের লেখার অভ্যাস রয়েছে তাদের লিখনীতে নতুন কারিকুলামের পজিটিভ দিক তুলে ধরার জন্য উৎসাহ প্রদান করা;
৯. প্রতি ০৩ মাসে কমপক্ষে একবার শিক্ষকদের In house প্রশিক্ষণের আয়োজন করা;
১০. প্রতিষ্ঠানে নতুন কারিকুলামে অন্তর্ভূক্ত সব বিষয়ই যথাসম্ভব বোঝার চেষ্টা করা ৷ এতে তিনি আন্তঃ বিষয় সম্পর্কটি (Inter Subject Relation) বুঝতে ও যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারবেন;
১১. প্রাত্যহিক সমাবেশে নীতি বাক্যের সাথে কারিকুলাম বাস্তবায়নে শপথ নিশ্চিত করা;
১২. প্রতিষ্ঠানের ফটকে দৃষ্টিগোচর স্থানে কারিকুলাম বাস্তবায়নের শ্লোগান/স্বপ্ন/প্রত্যয় লেখা;
১৩. নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিখন-শেখানোকার্যক্রম নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা ও শিক্ষকগণকে পরামর্শ দেয়া;
১৪. শিক্ষার্থীদের দ্বারা কম্পিউটার ক্লাব, ডিবেট ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, গ্রিন ক্লাব/পরিবেশ ক্লাব, সাংস্কৃতিক ক্লাব, ক্রীড়া ক্লাব, হেলথ ক্লাব গঠন ও সক্রিয় রাখায় উৎসাহিত করা;
উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পর্যায়ে করণীয়
১. পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষা উপকরণ যথাসময়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. শিক্ষকগণ পাঠ সংশ্লিষ্ট উপকরণ ও এনসিটিবি প্রদত্ত রুটিন/গাইড লাইন অনুযায়ী শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কিনা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা।
৩. শিক্ষার্থীদের উপকরণ মেলার আয়োজনে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সহযোগিতা করা এবং নির্বাচিত সেরাদের পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা করা।
৪. উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে শিক্ষা বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা যেন নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে খরচ হয় সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আলোচনা করা ৷
৫. প্রধান শিক্ষকদের কারিকুলাম বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ ও অভিভাবক সমাবেশ নিশ্চিতকরণে উৎসাহিত করা।
৬. প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিয়মিতভাবে সরাসরি/ জুম সভার আয়োজন করা এবং মাসিক প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করা।
৭. Remote area visit এবং Monitoring করা। সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া ৷
৮. Guide/Note বই, কোচিং বিষয়ে নীতিমালা বহির্ভূত কার্যক্রম বন্ধের জন্য উপজেলা/থানা পর্যায়ে মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে জেলা শিক্ষা অফিসার পর্যায়ে করণীয়
১. উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকদের কার্যক্রম সমন্বয় করা।
২. উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের ভ্রমণসূচি পর্যালোচনা করা, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা/পরামর্শ দেয়া।
৩. উপকরণ মেলার আয়োজন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে মেলায় তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
৪. এলাকার শিক্ষা সংশ্লিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মেলায় উপস্থিত করানো এবং মেলা থেকে শিক্ষার উপকরণ ক্রয়ে উৎসাহিত করা।
৫. মাসিক প্রতিবেদন আঞ্চলিক উপপরিচালক বরাবর প্রেরণ করা।
৬. স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করা।
৭. উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে জুম/সরাসরি সভার আয়োজন করা।
৮. জেলায় এতদসংক্রান্ত যাবতীয় আয়োজনে আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালক এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও সহযোগিতা গ্রহণ করা।
৯. স্কুল পরিদর্শনে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা ও পরমর্শ দেয়া।
আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের করণীয়
১. TG, পাঠ্যপুস্তক বিতরণ বিষয়ে এনসিটিবি-এর সাথে সমন্বয় করে তথ্যাদি দ্রুত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে আপডেট প্রদান করা।
২. শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের উপর প্রস্তুতকৃত বিভিন্ন ভিডিও ক্লীপ তৈরী করে থানা/উপজেলা/জেলা/আঞ্চলিক পর্যায়ের মাসিক সমন্বয় সভায় প্রচার করা।
৩. স্থানীয় সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধি যেমন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের নিয়ে একদিনের ওরিয়েন্টেশন কোর্সের ব্যবস্থা করা।
৪. জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন যথাযথ মনিটরিং করছেন কিনা তা তদারকি করা।
৫. ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করে সময়ে সময়ে জুম সভার আয়োজন করা ৷
৬. নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে সবল ও দুর্বল দিকগুলো খুঁজে বের করে কার্যকর কৌশল ও নীতি নির্ধারণে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করা ।
৭. উপকরণ মেলায় অংশ নেয়া, উপকরণ ক্রয় ও বিক্রয়ে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করা।
৮. স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করা।
৯. প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নের সকল পর্যায় মনিটরিং করা ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রতিবেদন প্রেরণ করা।
১০. নিয়মিত অংশীজন সভার আয়োজন করে এতদসংক্রান্ত গৃহীত মতামত/সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন করা।
১১. সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জুম সভার আয়োজন করা এবং তার প্রতিবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ।
পাঠক আমরা জানতে পারলাম জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন মাধ্যম শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, প্রতিষ্ঠানের প্রধান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গনের কি দায়িত্ব সেই বিষয়ে।
আশা করছি মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপটি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করবেন। আপনি চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত হয় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কার কী করণীয় শীর্ষক এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
শিক্ষা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন আপডেট পেতে ফেসবুক পেইজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
1 Comment
Pingback: বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ণ নির্দেশিকা : জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২