সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি নিজের সক্রিয় ভূমিকার একটি চিত্র তুলে ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম করবে। ২০২৩ সালের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তৃতীয় দিবসে ছাত্র-ছাত্রীরা ছবি আঁকা, লেখা, ম্যাসেজ, স্লোগান অথবা নিজের পছন্দমতো যে কোনো উপায়ে কাজটি করবে।
এই বছর সম্পূর্ণ নতুন বই পড়েছে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। এনসিটিবি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ের তৃতীয় দিনে তারা কিছু কাজ করবে যা ইতপূর্বে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সূচীপত্র
- 1 সপ্তম শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৩
- 2 স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি নিজের সক্রিয় ভূমিকা
- 3 স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি নিজের সক্রিয় ভূমিকার সংক্রান্ত কয়েকটি স্লোগান হলো:
- 4 প্রথম কাজ:
- 5 দ্বিতীয় কাজ:
- 6 স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি নিজের সক্রিয় ভূমিকার কয়েকটি মেসেজ:
সপ্তম শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৩
মাউশি ও এনসিটিবি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সময়সূচি প্রকাশ করেছে। সেই অনুযায়ী এই বিষয়ের প্রথম সেশন অনুষ্ঠিত হবে ১১.১১.২০২৩ এবং দ্বিতীয় সেশন ১৫.১১.২০২৩ এবং চূড়ান্ত সেশন বা ফাইনাল পরীক্ষা হবে ২২ নভেম্বর ২০২৩;
প্রথম দিবসে সপ্তম শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা একটি প্রতিযোগিতামূলক দাঁড়িয়াবান্ধা/বউচি/গোল্লাছুট/ব্যাডমিন্টন খেলায় অংশগ্রহণ করবে।
দ্বিতীয় দিবসে অংশগ্রহণকৃত খেলায় মূল্যায়নের প্রথম দিনে খেলায় অংশগ্রহণের আলোকে নিম্নলিখিত বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে এককভাবে প্রতিফলনমূলক একটি পেপার তৈরি করবে।
এবং শেষ সেশনে তারা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি তার নিজের সক্রিয় ভূমিকার একটি চিত্র তুলে ধরে পোষ্টার প্রদর্শনী করবে।
ছবি আঁকা, লেখা, ম্যাসেজ, স্লোগান অথবা নিজের পছন্দমতো যে কোনো উপায়ে এক দিকে লেখা ছোট ছোট কাগজে / ব্যবহৃত ক্যালেন্ডারের পাতায়/শপিং ব্যাগের কাগজে লিখতে পারে অথবা ছোট ছোট কাগজে লিখে পুরোনো লেখা কাগজে /পুরোনো খবরের কাগজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে পোষ্টার তৈরি করতে হবে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি নিজের সক্রিয় ভূমিকা
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি নিজের সক্রিয় ভূমিকার একটি চিত্র হলো একটি সচেতন এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা মানে হলো নিজেকে এবং অন্যদেরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো:
১. নিয়মিত হাত ধোয়া: হাত ধোয়া হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাত ধোয়ার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রোগজীবাণু থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারি।
২. খাদ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা: খাদ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারি।
৩. পানি বিশুদ্ধ করে পান করা: পানি বিশুদ্ধ করে পান করাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অপরিষ্কার পানি পান করার ফলে আমরা ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হতে পারি।
৪. পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা: পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অপরিষ্কার পরিবেশে থাকার ফলে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে আমরা নিজেদের এবং অন্যদেরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে পারি। এছাড়াও, আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি নিজের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারি;
নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর মাধ্যমে:
ক. স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা: স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে আমরা নিজেদের এবং অন্যদেরকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারি।
খ. স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করা: প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করাও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
গ. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করাও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি নিজের সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আমরা সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করতে পারি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি নিজের সক্রিয় ভূমিকার সংক্রান্ত কয়েকটি স্লোগান হলো:
১. স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ভূমিকা পালন করে, সুস্থ থাকি আমরা সবাই।
২. স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি করে, সুখী হই আমরা সকলে।
৩. স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, সুন্দর জীবন গড়ি।
৪. স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করি, সুন্দর সমাজ গড়ি।
৫. স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাই মিলে কাজ করি, সুস্থ থাকি আমরা সকলে।
এই স্লোগানগুলো সহজ, সংক্ষিপ্ত এবং মনে রাখা সহজ। এগুলোর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্ব এবং নিজের ও অন্যের প্রতি সক্রিয় ভূমিকা পালনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা যায়।
এছাড়াও, আরও কিছু স্লোগান হতে পারে:
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাত ধোয়া অত্যাবশ্যক।
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্য পরিচ্ছন্নতা জরুরি।
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পানি বিশুদ্ধতা অপরিহার্য।
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা আবশ্যক।
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করুন।
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।
এই স্লোগানগুলোর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা যায়।
প্রথম কাজ:
দ্বিতীয় দিনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত নিজেদের কাজের যে প্রতিফলন তোমরা করেছো তার উপর ভিত্তি করে এবার একটি পোস্টার তৈরি করবে।
তোমাদের প্রতিফলনের উপর ভিত্তি করে যে যে ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন মনে করছে তার জন্য পোস্টারে নিজের একটি পরিকল্পনা সংযুক্ত করবে।
পোস্টারের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে পারো:
- স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্ব
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি ভূমিকা
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা
পোস্টার তৈরিতে ১ ঘন্টা সময় দেওয়া হলো।
দ্বিতীয় কাজ:
পোস্টার তৈরি হয়ে গেলে দেয়ালে বা মেঝেতে প্রদর্শণের ব্যবস্থা করো।
নির্দেশাবলী:
- পোস্টারটি আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল হতে হবে।
- পোস্টারে ছবি, স্লোগান, ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারো।
- পোস্টারে নিজের নাম ও ক্লাস উল্লেখ করতে পারো।
আশা করি তোমরা ভালোভাবে কাজটি করতে পারবে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি নিজের সক্রিয় ভূমিকার কয়েকটি মেসেজ:
স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হও:
স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হলেই আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারি। স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হলে আমরা বুঝতে পারব যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমাদের সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলো:
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রোগজীবাণু থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো:
- নিয়মিত হাত ধোয়া
- খাদ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
- পানি বিশুদ্ধ করে পান করা
- পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করো:
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারি। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো:
- পর্যাপ্ত ঘুম
- নিয়মিত ব্যায়াম
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা
স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করো:
প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করাও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রোগের দ্রুত চিকিৎসা নিতে পারি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে অন্যদেরকে সচেতন করো:
স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে অন্যদেরকে সচেতন করে আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রচার-প্রসার করতে পারি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে অন্যদেরকে সচেতন করার জন্য আমরা বিভিন্ন উপায়ে কাজ করতে পারি, যেমন:
- পরিবার ও বন্ধুদের সাথে আলোচনা করা
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া
- স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রচার-প্রচারণামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা
এই মেসেজগুলোকে শিক্ষার্থীদের পোস্টারে তুলে ধরলে তারা স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালনে উৎসাহিত হবে।