প্রাথমিক শিক্ষকদের সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন প্রাথমিক শিক্ষকদের সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩ প্রকাশিত হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১০ অক্টোবর ২০২৩ এই জরুরি নির্দেশিকাটি প্রদান করে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩ এর আলোকে পরবর্তীতে শিক্ষক ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সূচীপত্র
অনলাইন বদলি নির্দেশিকা
বর্তমানে সরকারের সকল দপ্তরের মত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও ডিজিটালাইজেশন করেছে প্রায় সকল কার্যক্রম। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ এখন অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়।
অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩ প্রকাশের মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মচারী এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ে অধিকতর ধারণা এবং পদ্ধতি সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন।
আজকের আয়োজনে থাকছে প্রাথমিক শিক্ষকদের সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণায়ন। মূল নির্দেশিকায় কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে এখানে আপনার ধারণা হবে আশা করছি।
আরও পড়ুনঃ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা
সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩
গত ২২/১২/২০২২ তারিখ: ৩৮.০০৮.০২২.০০.০.০০২.২০১১-৩৮৮ নং স্মারকে জারীকৃত সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২২ অধিকতর সংশোধনপূর্বক এ নির্দেশিকা জারী করা হলো।
এ নির্দেশিকাটি “সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩” নামে অভিহিত হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন মাঠ পর্যায়ের সকল সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে এ নির্দেশিকাটি প্রযোজ্য হবে।
ক) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক বদলি
চলুন প্রথমেই জেনে নিই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক বদলির সময়কাল, বদলি কর্তৃপক্ষ, কি কি কারনে বদলি আবেদন করা যাবে, অনলাইন বদলি আবেদনে কি কি সংযুক্তি দিতে হবে।
বদলির সময়কাল
সাধারণভাবে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষা বছরের জানুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে একই উপজেলা/থানা, আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ বদলি করা যাবে; তবে মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে আবশ্যকতা বিবেচনায় বছরের অন্য সময়েও অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলি করা যাবে;
বদলির উল্লিখিত সময়কাল ব্যতিত অন্য যে কোন সময়ে কোন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হলে সেই পদে প্ৰধান শিক্ষক বদলি করা যাবে;
বদলির কর্তৃপক্ষ
১. জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তার নিজ অধিক্ষেত্রে একই উপজেলা/থানার (সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে) মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের সুপারিশক্রমে সহকারী শিক্ষকদের আন্ত: বিদ্যালয় অনলাইনে বদলির অনুমোদন প্রদান করবেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অনুমোদন গ্রহণপূর্বক উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার এরূপ বদলির আদেশ জারির ব্যবস্থা নিবেন।
২. সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তার নিজ অধিক্ষেত্রে আন্ত: উপজেলা/থানার মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের সুপারিশক্রমে অনলাইনে সহকারী শিক্ষকদের বদলি অনুমোদনপূর্বক আদেশ জারির ব্যবস্থা নিবেন;
৩. একই সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন আন্ত: থানা বদলির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানা শিক্ষা অফিসারের সুপারিশক্রমে সহকারী শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অনুমোদনপূর্বক বদলির আদেশ জারির ব্যবস্থা নিবেন এবং প্রধান শিক্ষকদের সংশ্লিষ্ট থানা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সুপারিশক্রমে বিভাগীয় উপপরিচালক অনুমোদনপূর্বক বদলির আদেশ জারির ব্যবস্থা নিবেন;
৪. বিভাগীয় উপ-পরিচালক তার নিজ অধিক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সুপারিশক্রমে সহকারী শিক্ষকদের আন্ত: জেলা বদলি অনুমোদনপূর্বক বদলির আদেশ জারির ব্যবস্থা নিবেন;
৫. বিভাগীয় উপ-পরিচালক তার নিজ অধিক্ষেত্রে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সুপারিশক্রমে প্রধান শিক্ষকদের একই উপজেলা/থানা, আন্ত: উপজেলা এবং আন্ত: জেলা বদলি অনুমোদনপূর্বক বদলির আদেশ জারির ব্যবস্থা নিবেন;
৬. আন্তঃবিভাগ এবং জনস্বার্থে/প্রশাসনিক কারণে অপরিহার্যতা বিবেচনায় বদলির ক্ষেত্রে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর অনুমোদনপূর্বক বদলির আদেশ জারির ব্যবস্থা নিবেন;
৭. অন্যত্র হতে সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে অথবা আন্ত: সিটি কর্পোরেশন বদলি/সংযুক্তির ক্ষেত্রে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বদলি/সংযুক্তির আদেশ জারির ব্যবস্থা নিবেন।
আরও পড়ুনঃ EIIN বিহীন প্রতিষ্ঠানও ব্যানবেইজ জরিপ তথ্য জমা দিতে হবে
বদলির সাধারণ শর্তাবলি
১. বদলির ক্ষেত্রে উপজেলা/ থানা (সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে) একক ইউনিট হিসেবে গণ্য হবে;
২. সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির মেয়াদ ন্যূনতম ২ (দুই) বছর পূর্ণ হলে এবং পদ শূন্য থাকলে আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা ও আন্তঃবিভাগ বদলি করা যাবে। তবে, উক্ত ২ (দুই) বছরের মধ্যে একই উপজেলা/থানায় পদ শূন্য হলে বদলি করা যাবে। এছাড়াও, যে কোন বদলির পর ৩ (তিন) বছর অতিক্রান্ত না হলে কোনো শিক্ষক পুন: বদলির জন্য বিবেচিত হবেন না;
৩. প্রধান শিক্ষক বা কোন সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হলে, উক্ত পদে তার চাকরির মেয়াদ ২ (দুই) বছর পূর্ণ হলে, পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা এবং আন্তঃবিভাগ বদলি করা যাবে।
তবে, উক্ত ২ (দুই) বছরের মধ্যে একই উপজেলা/থানায় পদ শূন্য হলে বদলি করা যাবে। এক্ষেত্রেও বদলির পর ৩ (তিন) বছর অতিক্রান্ত না হলে কোনো শিক্ষক পুন: বদলির জন্য বিবেচিত হবেন না;
৪. যে সকল বিদ্যালয়ে ৪ (চার) জন বা তার কম সংখ্যক শিক্ষক কর্মরত আছেন কিংবা শিক্ষক- শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৪০ এর বেশি রযেছে, সে সকল বিদ্যালয় থেকে সাধারণভাবে শিক্ষক বদলি করা যাবে না। তবে, প্রতিস্থাপন/পদায়ন সাপেক্ষে বদলি করা যাবে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডাবল শিফটে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিদ্যালয়সমূহের ক্ষেত্রে যে কোন এক শিফটের শিক্ষার্থী যথা ১ম ও ২য় অথবা ৩য় হতে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যার মধ্যে যে সংখ্যা বেশি হবে তা ১:৪০ অনুপাত হিসেবে বিবেচিত হবে;
৫. নদী ভাঙ্গন/অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো শিক্ষকের বসতভিটা বিলীন হওয়ার ফলে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তিত হলে বা কোনো উপজেলা/থানা/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন প্রশাসনিক পুনর্গঠনের কারণে কোনো শিক্ষকের স্থায়ী ঠিকানা এবং কর্মস্থলের ঠিকানা পরিবর্তিত হয়ে দুটো ভিন্ন উপজেলা/থানা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হলে উক্ত শিক্ষককে নিজ স্থায়ী ঠিকানায় বদলি করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ সঠিক সময়ে জরিপ সাবমিট না করা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেযারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র, স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল ও খতিয়ান, বাড়ির হোল্ডিং নম্বর (সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য), ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ, পৌর/ ইউনিয়ন পরিষদ কর পরিশোধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে;
৬. উপজেলা/থানায় কোনো পদ শূন্য হলে প্রথমত: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার অধিবাসী প্রার্থীগণ যারা নিজ উপজেলা/থানায় শূন্যপদ না থাকায় অন্য উপজেলা/থানায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, দ্বিতীয়ত: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার অধিবাসী প্রার্থীগণ সেই পদে বদলির জন্য অগ্রাধিকার পাবেন।
তবে, একাধিক পদ শূন্য থাকলে অন্য উপজেলা/থানা/জেলা/বিভাগের শিক্ষকগণও একইভাবে বদলির জন্য বিবেচিত হতে পারবেন। তবে আন্ত:উপজেলা/থানা, আন্ত:জেলা কিংবা আন্ত: বিভাগ বদলির ক্ষেত্রে বদলিকৃত শিক্ষকের জ্যেষ্ঠতা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত সর্বশেষ পরিপত্র/নীতিমালা দ্বারা নির্ধারিত হবে;
উপজেলা বা থানার মধ্যে একই পদে একাধিক আগ্রহী প্রার্থী থাকলে তাদের মধ্যে যথাক্রমে-
- (১) স্বামী/স্ত্রীর মৃত্যু/বিবাহ বিচ্ছেদ,
- (২) প্রতিবন্ধিতা,
- (৩) কর্মরত বিদ্যালয়ে কর্মকাল,
- (৪) লিঙ্গ,
- (৫) চাকুরির আবেদনে উল্লিখিত স্থায়ী ঠিকানা/ স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা (অন্ত:উপজেলা বদলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়),
- (৬) চাকুরির আবেদনে উল্লিখিত স্থায়ী ঠিকানা/ স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা হতে দূরত্ব (অন্ত:উপজেলা বদলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য),
- (৭) বিবাহ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে।
প্রতিবন্ধিতার ক্ষেত্রে শিক্ষকের সন্তান কিংবা স্বামী/স্ত্রী প্রতিবন্ধী হলেও তিনি অগ্রাধিকার পাবেন; তবে এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধিতার ধরণ ও মাত্রার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা কর্মকর্তার প্রত্যয়ন প্রমাণক হিসেবে দাখিল করতে হবে;
উপজেলার/থানার সহকারী শিক্ষকের মোট পদের সর্বাধিক ১০% পদে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার বাইরে থেকে উপযুক্ত শিক্ষক পদ শূন্য সাপেক্ষে বদলি করা যাবে;
৭. চাকরি লাভের পূর্বে এবং চাকরি লাভের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এমন শিক্ষক স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলী হতে ইচ্ছুক হলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শূন্য পদের বিপরীতে বদলি করা যাবে।
এ ধরণের বদলির ক্ষেত্রে বিবাহের সময় স্বামী/স্ত্রীর যে স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে ঐ ঠিকানায় বদলির ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ ৩.৮ এ বর্ণিত ১০% পূরনের শর্তটি প্রযোজ্য হবে না।
এরুপ বদলির ক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে বিয়ের কাবিন নামা/প্রত্যয়ন পত্র, সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর প্রত্যয়ন পত্র, স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল (কাবিন নামায় উল্লিখিত স্থায়ী ঠিকানা ও দলিলে উল্লিখিত স্থায়ী ঠিকানা একই হতে হবে), খতিয়ান এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে।
তবে এ সুযোগ তাঁরা সমগ্র চাকরিকালে সর্বোচ্চ ০১ (এক) বার গ্রহণ করতে পারবেন। তবে, চাকুরীর বিজ্ঞপ্তির পূর্বে বিবাহ হয়ে থাকলে শিক্ষক স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির ক্ষেত্রে ১০% কোটা পূরণের শর্তের আওতায় আসবেন;
আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সময়সূচি প্রকাশ
৮. বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত শিক্ষক তাঁর স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানায় বদলি হতে পারবে। এবং বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত শিক্ষক পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে স্বামীর স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানায় বদলি হতে ইচ্ছা পোষন করলে কাবিননামা/প্রত্যয়নসহ আবেদনের ভিত্তিতে পদশূন্য থাকা সাপেক্ষে বদলি করা যাবে।
এরূপ বদলির ক্ষেত্রে নিজের স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানার স্বপক্ষে এবং স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর প্রত্যয়ন পত্র, স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল ও খতিয়ান, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে;
৯. বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা শিক্ষককে তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে পিতা/তার স্থায়ী ঠিকানায় অথবা তাঁর বর্তমান স্থায়ী ঠিকানায় বদলি করা যাবে।
এক্ষেত্রে পিতার বা তাঁর বর্তমান স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর প্রত্যয়ন পত্র, পিতার স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল, খতিয়ান, এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে; তবে এ সুযোগ তাঁরা সমগ্র চাকরিকালে সর্বোচ্চ ০১ (এক) বার গ্রহণ করতে পারবেন;
১০. কোন শিক্ষকের স্ত্রী বা স্বামী সরকারি/আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে তাঁকে স্ত্রী বা স্বামীর কর্মস্থলে বদলির সুযোগ দেয়া যেতে পারে। তবে এ সুযোগ তাঁরা সমগ্র চাকরিকালে সর্বোচ্চ ০২ (দুই) বার গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু ৩.৯ নং উপানুচেছদের আওতায় স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির সুযোগ গ্রহণকারী এ উপানুচ্ছেদের আওতায় বদলির সুযোগ পাবেন না।
১১. চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ শুধুমাত্র কর্মরত উপজেলা/থানার মধ্যে বদলি হতে পারবেন;
১২. প্রধান শিক্ষকের আন্তঃ উপজেলা, আন্তঃ জেলা, আন্তঃ বিভাগ বদলির ক্ষেত্রে সর্বশেষ জারিকৃত পদোন্নতির বিধিবিধানের আলোকে পদোন্নতিযোগ্য মোট পদের সর্বাধিক ১০% পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সরাসরি নিয়োগযোগ্য মোট পদের সর্বাধিক ১০% পদে সরাসরি নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে বদলি করা যাবে;
১৩. কোন উপজেলা/থানার অধিবাসী প্রার্থীগণ যারা নিজ উপজেলা/থানায় শূন্যপদ না থাকায় কিংবা অন্য কোন কারণে অন্য উপজেলা/থানায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, এরুপ বদলি প্রার্থী শিক্ষক নিজ উপজেলা/থানায় বদলির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন । এক্ষেত্রে এ নির্দেশিকার অনুচ্ছেদ ১.০ প্রযোজ্য হবে না।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা
স্বাস্থ্যগত বা প্রশাসনিক কারণে বদলি
দূরারোগ্য/প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্তের কারণে কিংবা আচরণবিধি লংঘন বা শৃঙ্খলাজনিত কারণে অপরিহার্যতা বিবেচনায় নিয়মিত বদলির পাশাপাশি বছরের যে কোন সময় জনস্বার্থে/প্রশাসনিক বদলি/সংযুক্তি প্রদান করা যাবে;
দূরারোগ্য/প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্তের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বদলি/সংযুক্তি প্রদান করতে পারবেন। তবে সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে বদলি/সংযুক্তি প্রদানের ক্ষেত্রে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন গ্ৰহণ করতে হবে।
দূরারোগ্য/প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্তের কারণে বদলির আবেদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনের প্রত্যয়ন দাখিল করতে হবে;
আচরণবিধি লঙ্ঘন বা শৃঙ্খলাজনিত কারণে বদলি প্রদানের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপপরিচালক প্রশাসনিক বদলি করবেন;
তবে এ ধরণের বদলির আদেশ প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করবেন; প্রশাসনিক কারণে বদলি হওয়ার ৩ (তিন) বছরের মধ্যে কোনো শিক্ষক পুন: বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন না;
বিশেষ কারণে জনস্বার্থে অপরিহার্যতা বিবেচনায় সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বছরের যে কোন সময় বদলির আদেশ জারি করতে পারবেন;
একই উপজেলা/থানার মধ্যে বিদ্যালয়সমূহের শ্রেণিকক্ষ/শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে শিক্ষকদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করার প্রয়োজনে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ভিত্তিক শিক্ষকের শূন্যপদ সমন্বয় করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সমন্বয়ের ফলে যে বিদ্যালয় হতে পদ কর্তন করা হয়েছে সে বিদ্যালয়ের কর্তন পরবর্তী অনুমোদিত শিক্ষক পদ সংখ্যা ০৪ (চার) এর নিচে নেমে না যায়। তবে, বিশেষ প্রয়োজনে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষক সমন্বয় করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কার কি করনীয় জেনে নিন
প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন বদলিতে প্রয়োজনীয় সংযুক্তি
প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণ (বিটিপিটি), প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, ডিপিএড/সিইনএড প্রশিক্ষণে এক বা একাধিক শিক্ষকের যোগদানের কারণে কিংবা কোন শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্তজনিত কারণে বা মাতৃত্বজনিত ছুটি বা অন্য কোন উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে শিক্ষক স্বল্পতা হেতু কোনো বিদ্যালয়ে পাঠদান বিঘ্নিত হলে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার এর প্রস্তাবের ভিত্তিতে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত রেখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুনির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখপূর্বক (সর্বোচ্চ ০১ বছরের জন্য) একই উপজেলার অভ্যন্তরে সংযুক্তির আদেশ প্রদান করতে পারবেন।
মেয়াদ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্তির আদেশ বাতিল হবে। একই শিক্ষককে একাধিকবার সংযুক্তি দেয়া যাবে না। সংযুক্তির আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে বা প্রশাসনিক কারণে উক্ত সংযুক্তির আদেশ বাতিল করতে পারবেন;
অন্যত্র হতে সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে অথবা আন্ত: সিটি কর্পোরেশন সংযুক্তির ক্ষেত্রে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে এবং এতদ্ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে মেয়াদ উল্লেখপূর্বক মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সংযুক্তির আদেশ জারি করবেন।
আরও পড়ুনঃ পিএইচডি ফেলোশিপ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ এবং আবেদনের পদ্ধতি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন মাঠ পর্যায়ের সকল সরকারি কর্মচারী বদলি
নতুন প্রকাশিত প্রাথমিক শিক্ষকদের সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩ এর মাধ্যমে শিক্ষকদের মত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন মাঠ পর্যায়ের সকল সরকারি কর্মচারী বদলি সংক্রান্ত কিছু জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তাদের বদলি সময়কাল
সাধারণভাবে আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতি বছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে বদলি করা যাবে;
জনস্বার্থে/প্রশাসনিক কারণে অপরিহার্যতা বিবেচনায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর অনুচ্ছেদ ৯ এর বিধানাবলী অনুসরণপূর্বক যে কোন সময় যে কোন কর্মচারীকে অনলাইনে/অফলাইনে বদলি করতে পারবে।
বদলির কর্তৃপক্ষ
৬ষ্ঠ থেকে তদুর্ধ্ব গ্রেডের কর্মচারীর বদলির ক্ষেত্রে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ৯ম ও ১০ম গ্রেডের (মূল গ্রেড) কর্মচারীর বদলির ক্ষেত্রে মহাপরিচালক এবং ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীর আন্তঃবিভাগ বদলির ক্ষেত্রে মহাপরিচালক, আন্তঃজেলা বদলির ক্ষেত্রে বিভাগীয় উপপরিচালক এবং আন্তঃউপজেলা/থানা বদলির ক্ষেত্রে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার/সুপারিনটেনডেন্ট স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে বদলির আদেশ জারি করবেন।
বদলির শর্তাবলি
১. ইন্সট্রাক্টর, ইউআরসি/টিআরসি, পিটিআই ইন্সট্রাক্টর, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার, সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট এবং সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নিজ জেলায় পদায়ন/বদলি এবং অব্যবহিত পূর্ববর্তী কর্মস্থলে বদলি করা যাবে না। তবে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী ইন্সট্রাক্টর, ইউআরসি/টিআরসিকে নিজ উপজেলা এবং অব্যবহিত পূর্ববর্তী কর্মস্থল ব্যতীত অন্যত্র বদলি করা যাবে;
২. চাকরির মেয়াদ ন্যূনতম ০২ (দুই) বছর পূর্ণ হলে এবং পদ শূন্য থাকলে বদলি করা যাবে। এছাড়াও, যে কোন বদলির পর ০২ (দুই) বছর অতিক্রান্ত না হলে কোনো পুন: বদলির জন্য বিবেচিত হবেন না;
৩. অবসর উত্তর ছুটি (পিআরএল)-তে গমনের এক বছর এক মাস পূর্বে কোন কর্মচারী বদলির জন্য আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন।
অপরিহার্যতা বিবেচনায় জনস্বার্থে প্রশাসনিক কারণে বদলি
১. আচরণবিধি লংঘন বা শৃঙ্খলাজনিত কারণে বদলির পাশাপাশি অপরিহার্যতা বিবেচনায় জনস্বার্থে/প্রশাসনিক কারণে বদলি করা যাবে।
এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে ৬ষ্ঠ থেকে তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মচারীদের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ৯ম ও ১০ম গ্রেডের (মূল গ্রেড) কর্মচারীর বদলির ক্ষেত্রে এবং ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীর আন্ত:বিভাগ বদলির ক্ষেত্রে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বদলির আদেশ জারি করবেন।
এছাড়া উল্লিখিত কারণে একই বিভাগের (জেলা ও উপজেলাসহ) বদলির ক্ষেত্রে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে বিভাগীয় উপ-পরিচালক বদলির আদেশ জারি করবেন;
২. তবে, আচরণবিধি লঙ্ঘন বা শৃঙ্খলাজনিত কারণে বদলির ক্ষেত্রে অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তর বদলির আদেশ জারি করবে;
৩. প্রশাসনিক কারণে বদলির ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত সুগম কর্মস্থলে বদলি করা যাবেনা। এরূপ বদলিকৃত কর্মচারী আবশ্যিকভাবে ০২ (দুই) বছর বদলিকৃত কর্মস্থলে চাকরি করবেন;
৪. একই পদে এবং একই কর্মস্থলে ০৩ (তিন) বৎসর অতিক্রান্ত হওয়া সাপেক্ষে কর্মচারীগণকে জনস্বার্থে নতুন পদে/কর্মস্থলে বদলি করতে হবে। এরুপ বদলির ক্ষেত্রে কর্মচারীর যথাসম্ভব যোগাযোগ ও অন্যান্য সুবিধা বিবেচনা এবং আন্তঃদপ্তর জনবলের ভারসাম্য বিবেচনা করে কর্মস্থল নির্বাচন করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ৭ই মার্চের ভাষণ এর বৈশিষ্ট্য, গুরুত্ব ও তাৎপর্য
বদলির ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়সমূহ
১. যে সকল কর্মচারী এবং তাঁদের স্ত্রী/স্বামী সরকারি/স্বায়ত্বশাষিত সংস্থায় চাকরি করেন এ সকল কর্মচারীর বদলি/পদায়নের ক্ষেত্রে যেন স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাশাপাশি কর্মস্থলে অবস্থান করতে পারেন সে বিষয়ে সর্বোচ্চ বিবেচনা করতে পারবেন;
সরকার কর্তৃক স্বীকৃত দূর্গম ও পাহাড়ী এলাকায় কর্মরত কর্মচারীর চাকরিকাল ০১ (এক) বছর পূর্ণ হলে এবং তিনি বদলির আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনা করতে পারবেন;
২. সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারগণকে জনস্বার্থে এবং আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মস্থলে ন্যুনতম ৫০% সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদ পুরণ থাকতে হবে।
অনিবার্য কারণে ৫০% পদ পূরণ সম্ভব না হলে প্রতিস্থাপন নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে বদলি করা যাবে। একই উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস হতে একাধিক কর্মকর্তা অন্যত্র বদলির আবেদন করলে অথবা, একই কর্মস্থলে একাধিক প্রার্থী আবেদন করলে যথাক্রমে-নারী কর্মচারী এবং জ্যেষ্ঠ কর্মচারীগণ অগ্রাধিকার পাবেন;
৩. উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং অধস্তন কর্তৃপক্ষ একই কর্মস্থলে পৃথকভাবে বদলির আদেশ জারী করলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ বহাল থাকবে এবং অধস্তন কর্তৃপক্ষের আদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে;
যে কোন পর্যায়ের কর্তৃপক্ষ বদলির আদেশ জারী করে অনতিবিলম্বে তা সকল পর্যায়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
বিবিধ
এ নির্দেশিকার কোন অনুচ্ছেদে বর্ণিত শর্তাদি স্পষ্টীকরণের প্রয়োজন হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারবে;
এ নির্দেশিকাটির শিক্ষক বদলির অংশটুকু রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার জন্য অনুসৃত হবে না। তবে, এ নির্দেশিকার আলোকে পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহ সংশ্লিষ্ট জেলার উপযোগী নির্দেশিকা প্রণয়নপূর্বক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে;
প্রশিক্ষণকালিন সময়ে অথবা মাতৃত্বকালিন ছুটি বা অন্য কোন ছুটি ভোগরত অবস্থায় বদলির আবেদন করা যাবে না;
এ নির্দেশিকা জারির তারিখ হতে গত ২২.১২.২০২২ তারিখ 38.008.022.0000.002.2011-৩৮৮ নং স্মারকে জারীকৃত সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২২ বাতিল বলে গণ্য হবে;
তবে উক্ত নির্দেশিকার অধীন যে সকল কার্যক্রম নিষ্পন্ন হয়েছে তা এ নির্দেশিকার অধীন সম্পন্ন হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং এ নির্দেশিকা জারির তারিখে অনিষ্পন্ন কার্যাদি যতদূর সম্ভব এ নির্দেশিকার অধীন নিষ্পন্ন করতে হবে;
এ নির্দেশিকার আলোকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তুতকৃত অনলাইন সফটওয়্যার/এ্যাপস্ এর মাধ্যমে বদলির কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩ ডাউনলোড
আপনাদের সুবিদার্থে স্বপ্ন ইশকুল এর পাঠকদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩ পিডিএফ কপি দেওয়া হল। এখানে ক্লিক সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা পিডিএফ ডাউনলোড করে নিন।